46270

ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই হাজারো মানুষের যাতায়াতের ভরসা

তিতাস প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নায়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর নির্মিত অনেক পুরনো ব্রিজটি ১৯৮৮ সালের বন্যায় ভেঙে যায়। দীর্ঘদিন হলেও তৈরি হয়নি নতুন ব্রিজ। এলাকার লোকজন টাকা তুলে ভেঙে যাওয়া ব্রিজের পিলারের ওপর বাঁশ বসিয়ে সাঁকো তৈরি করেছে। এই সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। যাতায়াতের বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় তাদের একমাত্র ভরসা হলো এই বাঁশের সাঁকোটি।

এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি-বাটিবন ও সোনাকান্দা সড়কের খালের ওপর একটি ব্রিজের অভাবে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করছে কয়েকটি গ্রামের মানুষ। সরকার সারা দেশে রাস্তা, ব্রিজ, কালভারর্ট তৈরি করছে। কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের এখানে একটি ব্রীজ নির্মান করছে না। আমরা অনেক কষ্ট করে ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করছি। সরকারের কাছে বিনয়ের সাথে আমরা অনুরোধ করছি অতিসত্তর যাতে আমাদের এখানে একটি ব্রিজ নির্মান করে দেয়।

ads

নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি গ্রামের আবদুল মতিন (৬০) বলেন,’ ৮৮’র বন্যার সময় ব্রিজটি ভেঙে গেছে আর হইতাছে না, এই ব্রিজডা নিয়া আমরা অনেক কষ্ট ভোগ করতাছি। আমরা নিজেরা গ্রামের মানুষের কাছ থেকে টেকা টুকা তুইলা বাঁশ-টাস দিয়া ইটাতে একটু সহযোগিতা করি। কয়েক গ্রামের মানুষ এই বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে যাতায়াত করে।

স্থানীয় প্রতিনিধিরা কী কোন সহযোগিতা করে না, তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভোট আইলে ভোট নিয়া যায় ব্রিজ কইরা দিবো বইলা, কিন্তু নির্বাচনে পাশ করার পর আর কোন খবর থাকে না।

ads

একই গ্রামের মো.আলী মিয়া (৬২) বলেন, এডার সম্বন্ধে কী বলতাম আমরা তো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছেও গেছি, কোন গুরুত্ব দেয় না, এজন্য কাজটা হয় না। আমরা দশের কাছ থেকে টাকা তুইলা বাঁশের সাঁকোটি তৈরি করেছি, এখন মানুষ কষ্ট করে চলাচল করে।

সোনাকান্দা গ্রামের আবুল কাসেম মোল্লা (৭০) বলেন, খালি মাপজোপ নিতাছে আর কইতাছে ব্রিজ হইবো ব্রিজ হইবো! বইলা যায়, কিন্তু ব্রিজ তো আর হয় না। এখানে একটা ব্রিজ হলে আমদের অনেক উপকার হইতো।

ad

পাঠকের মতামত