42552

৯ দফা দাবীতে ঈদের পর ঢাকায় সমাবেশ করবে কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ

নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যসমৃদ্ধ জনপদ। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় জেলাটির অবস্থান অনেক উপরে। জনসংখ্যার ঘনত্বও অনেক বেশি কিন্তু এর কাঙ্খিত উন্নয়ন তেমন হয়নি। বরং কোন কোন ক্ষেত্রে ঘটেছে অবনমন। এক্ষুনি কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া না হলে এ সংকট আরো গভীর হতে বাধ্য। তাই রাজনৈতিক বিবেচনা থেকে নয় উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়ে কয়য়েকটি সার্বজনীন ও জনকল্যাণমূলক দাবি উপস্থাপন করেছে যা ইতিমধ্যে রাজনৈতিক নেতা, প্রশাসন, সুধীসমাজ ও সর্বস্তরের মানুষের সমর্থন সহযোগিতা ও সহানুভূতি লাভ করে গণদাবিতে পরিণত হয়েছে এবং জনপ্রিয় য়ে উঠেছে কুমিল্লা বাঁচাও গানটি। শনিবার কুমিল্লা নুরজাহান হোটেলে কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ আলোচনা ও ইফতার মাহফিলে বক্তরা এসব কথা বলেন।

কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ কমিটির সভাপতি বীরমুক্তি যোদ্ধা জহিরুল হক দুলালের সভাপতিত্বে এবং কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ আলোচনা সভার প্রধান অতিথি সাবেক সংসদ সদস্য ও হুইস,মনিরুল হক চৌধুরী ৯ দফা দাবি বাস্তবায়ন তোলে ধরে বলেন, অবিলম্বে কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়ন, মেট্রোপলিটন নগরী গঠনপূর্বক মেট্রোপলিটন পুলিশ, মেট্রোপলিটন বিচারিক আদালত, নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও ওয়াসা গঠনপূর্বক কুমিল্লাকে পূর্ণাঙ্গ মেট্রোপলিটন নগরীতে রূপান্তর করা হোক। মহানগরীর জলাবদ্ধতা, পয়ঃ ও পানি নিষ্কাশনে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও যানজট নিরসনে সকল যানবাহন সীমিতকরণ বিশেষ করে হস্তচালিত যানবাহন সীমিতকরণ ও কার্যকর যোগাযোগ ব্যবস্থা চালুর জন্য সার্কুলার বাস সার্ভিস, ট্রাম-সার্ভিস প্রবর্তন করা হোক। কুমিল্লা যেমন পৃথিবীর অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটিও ট্রাফিক ঘনত্বে পৃ থীবীর মধ্যে সর্বোচ্চ ও জটিলতম। দুঃখজনক হলেও সত্য ১৯৮৮ সালে বন্যার আগে এই সড়কটির মান ও কার্যকারিতা যথাযথ বৃদ্ধির কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি বা এ নিয়ে এই অঞ্চলের সুবোধ জনগণ এমনকি জনপ্রতিনিধিরাও কোন আওয়াজ তুলেনি, তুলেছেন বলে আমরা জানি না। এই দশকের শুরুতে স্থানীয় সাংসদ সড়কটি ৪ (চার) লেনে রূপান্তরের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং যাত্রাবাড়ীতে ফ্লাইওভার ও পদুয়ার বাজারে রেল ওভারপাস নির্মাণের জন্য সড়ক বিভাগের চাহিদা মোতাবেক অর্থ বরাদ্ধ নিশ্চিত করেন। দুর্ভাগ্য হলেও সত্য, পরিকল্পিত রেল ওভারপাস এবং টমছমব্রীজ আন্ডারপাস নির্মাণ না হওয়ার কারণে এই এলাকার ট্রাফিক অব্যবস্থাপনার এক নারকীয় উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। অন্য দিকে লাইফ-লাইন হওয়া সত্ত্বেও ৪ (চার) লেনের নামে শুধু মাত্র একটি ডিভাইডার তৈরি ছাড়া সমস্ত সড়কে পরিকল্পিত আন্ডারপাস, ওভারপাস, যেমনটি ঢাকা-মাওয়া সড়কে বা পদ্মা সেতুতে পরিকল্পিতভাবে করা হয়েছে, তেমনটি দেশের এক নম্বর মহাসড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইনে করা হয়নি, যা দুর্ভাগ্যজনক। একইভাবে প্রস্তাবিত বৃটিশ আমলে ও পাকিস্তান আমলে পরিকল্পিত ঢাকা-লাকসাম (কুমিল্লা) রেল কর্ড লাইন (সরাসরি) নির্মিত না হওয়ায় আজও দ্বিগুণ দুরত্ব ও পাঁচ জেলা ঘুরে এবং দীর্ঘ সময় নিয়ে কুমিল্লা-নোয়াখালী অঞ্চলের মানুষকে ট্রেন ভ্রমণ করতে হয়। তাই নির্বিঘ্ন সড়ক যোগাযোগের স্বার্থে ঢাকা-চট্টগ্রাম সহাসড়কে পদ্মা সেতুর সংযোগ সড়কের মানে উন্নত করা হোক এবং প্রস্তাবিত ঢাকা-কুমিল্লা রেল কর্ড (সরাসরি) লাইন নির্মাণ করা হোক। ইপিজেড এর বিষাক্ত রাসায়নিক বর্জ্য থেকে কুমিল্লা সমস্যা সমাধানে কুমিল্লা জেলা কৃষক সমবায় ঐক্য পরিষদের দাতি ০৩ (তিন) অধিদপ্তর এর প্রণীত তদন্ত রিপোর্ট বাস্তবায়নের জন্য মহানগরীর পানিষ্কাশিত ৩টি খালে ইপিজেড এর রাসায়নিক বর্জ্য প্রবাহ বন্ধ করা এবং পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিদস্যুদের দ্বারা লালমাই পাহাড়কে বালু খেকোদের হাত থেকে রক্ষা করা হোক। এদিকে আলোচনা সভায় বক্ত্যব রাখেন কুমিল্লা বাঁচাও মঞ্চ কমিটির সদস্য ওমর ফারুক, শহীদুল হক স্বপন, সিরাজুল হক, এড.গোলাম ফারুক, এড আকতার হোসেন, আলী আশরাফ, ওবায়েদুল কবীর মহন।

ads

মোনাজাত পরিচালনা করেন মো:দেলোয়ার হোসেন।

ads
ad

পাঠকের মতামত