41571

সৌদি আরবে ওষুধ উৎপাদন করবে বাংলাদেশের বেক্সিমকো

নিউজ ডেস্ক: সৌদি আরবের সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগে ওষুধ উৎপাদন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম বড় ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। সৌদিতে কারখানা স্থাপন হলে সেখানে প্রায় ৩০ ধরনের ওষুধ তৈরি হবে। ওই কারখানায় আগামী বছর থেকে ওষুধ উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হবে।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যৌথ বিনিয়োগ উদ্যোগের অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার বিকেলে সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গাজীপুরে অবস্থিত বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানা পরিদর্শনে যায়।
এ সময় সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান।

ads

পরিদর্শন শেষে সালমান এফ রহমান জানান, ওষুধ কারখানা স্থাপন ছাড়াও যে জনবল ও প্রযুক্তিগত সহায়তা সৌদি আরবে লাগবে, তা-ও বাংলাদেশ থেকে নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘ওষুধ রপ্তানির ক্ষেত্রে আমাদের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। যে কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ওষুধের ওপর মানুষের একটা আস্থা তৈরি হয়েছে।’

অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের ওষুধ মানসম্মত এবং দামও বেশ পরিমিত দাবি করে সালমান এফ রহমান বলেন, ‘এ কারণে ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে আমাদের একটা ভালো অবস্থান তৈরি হয়েছে। দেশের ওষুধশিল্পের বিকাশে সরকার ওষুধশিল্প পার্ক স্থাপন করছে। শিগগিরই সেখানে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন হবে। তখন এ শিল্পের বিকাশ আরও সহজ হবে।’

ads

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান জানান, সৌদি আরবে ওষুধ কারখানায় বিনিয়োগের বেশির ভাগ অর্থ বাংলাদেশের।

দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ব্যবসা সম্মেলনে’ অংশ নিতে গত শুক্রবার ঢাকায় আসেন সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি। পরে শনিবার বিকেলে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

বৈঠক শেষে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস উন্নত সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওষুধ উৎপাদন করছে। এ কারণে সৌদি আরবেও যৌথ বিনিয়োগের উদ্যোগ নিয়েছে তারা।

তবে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ পরিস্থিতি এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি বলে জানান মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি। তিনি বলেন, বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তি, যোগাযোগ ও জনশক্তি রপ্তানিতে দুই দেশের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগানোর সুযোগ রয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে পৃথিবীর ১৬০টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের ওষুধ রপ্তানি হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত