38081

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের সদস্য নির্বাচিত বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্কঃ গ্রুপ পর্যায়ে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার রাতে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বাংলাদেশ ১৬০ ভোট পায়। নির্বাচনে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য বরাদ্দ চারটি আসনের বিপরীতে বাংলাদেশ ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে আফগানিস্তান, কিরগিজস্তান, মালদ্বীপ, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভিয়েতনাম।

নির্বাচনে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের গ্রুপে মোট ১৯০টি ভোট পড়ে। এর মধ্যে ১৮৯টি ভোট বৈধ হিসেবে গণ্য হয়। মালদ্বীপ ১৫৪টি, ভিয়েতনাম ১৪৪টি, কিরগিজস্তান ১২৬টি, দক্ষিণ কোরিয়া ১২২টি ভোট পেয়েছে।

ads

উল্লেখ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে গত বছর র‌্যাব এবং এর কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া বাংলাদেশে মানবাধিকার নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর, বেসরকারি সংস্থাসহ (এনজিও) বিভিন্ন মহল সমালোচনা করে আসছে। এমন প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে সদস্য পদে বাংলাদেশের নির্বাচনকে বড় কূটনৈতিক জয় হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আগেই বলেছেন, মানবাধিকার পরিষদে সদস্য পদে নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে বাংলাদেশ আশাবাদী ছিল। বাংলাদেশ অতীতেও মানবাধিকার পরিষদে সদস্য নির্বাচিত হয়েছে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, মানবাধিকার সুরক্ষার অঙ্গীকার ও মানবাধিকার ইস্যুতে ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিল বাংলাদেশ। মানবাধিকার পরিষদে সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় সেখানে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় ভোটাধিকার প্রয়োগসহ ভূমিকা রাখার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ। আগামী জানুয়ারি থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য বাংলাদেশ সদস্য হিসেবে মানবাধিকার পরিষদে দায়িত্ব পালন করবে।

ads

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ৪৭ সদস্যের মানবাধিকার পরিষদের ১৪টি সদস্য পদে আজ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও নির্বাচিত অপর সদস্যরা হলো আলজেরিয়া, বেলজিয়াম, চিলি, কোস্টারিকা, জর্জিয়া, জার্মানি, কিরগিজস্তান, মালদ্বীপ, মরক্কো, রোমানিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুদান ও ভিয়েতনাম।

বিভিন্ন সংগঠন মানবাধিকার পরিষদের বর্তমান সদস্য অনেক দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও এর প্রতি তাদের প্রকৃত অঙ্গীকার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। প্রশ্ন উঠেছে সদস্য হতে আগ্রহী অনেক দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়েও। কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, শেষ পর্যন্ত এখানে ভোট হয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ওপর। প্রার্থী দেশগুলো মানবাধিকার পরিষদ নিয়ে তাদের ভাবনা ও সদস্য নির্বাচিত হলে মানবাধিকার রক্ষায় কী করবে সেসব অঙ্গীকার সবার কাছে তুলে ধরেছে।

ad

পাঠকের মতামত