24923

ঢাকাস্থ জিসিএ কার্যালয়ের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিল চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন অভিযোজন ব্যবস্থার উন্নয়নে এখানে গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশনের (জিসিএ) দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের তহবিলে অর্থায়ন করার জন্য উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে ভার্চুয়াল ৭ম ভি২০ প্রথম জলবায়ু ঝুঁকি অর্থায়ন সম্মেলনে তিনি বলেন, “স্থানীয় ভিত্তিতে অভিযোজন ব্যবস্থার উন্নয়ন ও প্রসারের লক্ষ্যে জিসিএ’র জন্য তহবিলে অর্থায়ন করা অত্যন্ত জরুরি।”

ads

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ুজনিত অভিবাসীদের পুনর্বাসন এবং পুনরায় সমাজে একীভূত করার জন্য ভি-২০ প্লাটফরমে একটি তহবিল গঠনের আহবান জানিয়ে বলেন, “অন্যথায় তারা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।”

বৈশ্বিক উষ্ণায়ন, জলমগ্নতা এবং নদী ভাঙ্গনের কারণে হাজার হাজার মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ও কর্মসংস্থান সুবিধা হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, “এই বাস্তুচ্যুত লোকদের আমরা “ক্লাইমেট মাইগ্রান্ট” বলে অভিহিত করে থাকি, তাদের পুনর্বাসন করা দরকার।”

ads

ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত ভালনারেবল টুয়েন্টি (ভি২০) অর্থমন্ত্রীদের এই সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী এএইচএম মুস্তাফা কামাল সভাপতিত্ব করেন।

ড. মোমেন বলেন, প্যারিস চুক্তি অনুযায়ী প্রতিবছর ১০০ বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে এবং এই অর্থ প্রশমন ও অভিযোজনের ক্ষেত্রে সমানভাবে বন্টন করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, “আমরা মনে করি জলবায়ু পরিবর্তন এবং এ সম্পর্কিত বিপর্যয় একটি উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমস্যা। এ কারণেই আর্থিক সম্পদ এবং সবুজ প্রযুক্তি হস্তান্তর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

মোমেন বলেন, অর্থমন্ত্রীরা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অর্থনৈতিক ও আর্থিক দিকগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন এবং পররাষ্ট্র ও পরিবেশ মন্ত্রীদের চলমান আলোচনা জোরদারে সহায়তা করতে পারেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোকে পর্যাপ্ত সম্পদ ও প্রযুক্তি সহায়তা প্রদানের জন্য জি৭ , জি২০ এবং অন্যান্য প্রধান অর্থনীতিগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আরো বলেন, “এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, সবদেশ বিশেষ করে কার্বন নি:সরণকারী প্রধান দেশগুলোর ঘোষিত লক্ষ্য এবং কার্বন নি:সরণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা (এসডিসি) পূরণে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহন করতে হবে।”

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে অভিযোজনে বাংলাদেশ বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে দাবি করে মোমেন বলেন, “অভিযোজন ও প্রশমনের জন্য আমরা প্রতি বছর প্রায় ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করছি। এলডিসি’র মধ্যে নিজস্ব সম্পদ থেকে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠনে আমরাই প্রথম।

তিনি বলেন, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্যে ঢাকা সিভিএফের মাধ্যমে কার্যক্রম অব্যহত রাখবে।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস, কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট ইভান ডুক মার্কেজ, ইথিওপিয়ার প্রেসিডেন্ট সাহলে-ওয়ার্ক জেওডে, কোস্টারিকার প্রেসিডেন্ট কার্লোস আলভারাদো কেসাদা, মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টোফার লোয়াক, গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন এর চেয়ারপারসন বান কি মুন, জলবায়ু বিষয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ দূত জন কেরি, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস, এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া এবং ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ভের্নার হোয়ার বাংলাদেশ আয়োজিত ভার্চুয়াল শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখেন।

ভি-২০ দেশের অর্থমন্ত্রীগণ এবং জি-৭ ও জি-২০ দেশগুলোর প্রতিনিধিবৃন্দ, আইএফআই এবং এমডিবি প্রধান এবং অংশীদাররা সম্মেলনে যোগ দেন।

ad

পাঠকের মতামত