24869

আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার সঠিক সিদ্ধান্ত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আগামী ৩১ শে আগস্ট দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাদের কাজ শেষ হবে। বাইডেন হচ্ছেন চতুর্থ মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি আফগান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কার্যক্রম দেখাশোনা করছেন। যে গতিতে সেনা প্রত্যাহার করা হচ্ছে, সেটিকেও সমর্থন করেছেন বাইডেন। খবর বিবিসির।

তালেবান জঙ্গিরা যখন আফগানিস্তানে একটির পর একটি এলাকা দখল করে নিচ্ছে, তখন বাইডেনের এই বক্তব্য এলো। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে টুইন টাওয়ারে হামলার পর গত ২০ বছর যাবত মার্কিন সেনারা আফগানিস্তানে যুদ্ধ করছে।

ads

চলতি বছরের শুরুতে বাইডেন সময়সীমা নির্ধারণ করেছিলেন যে, ২০২১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর মার্কিন সেনাদের আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করা হবে।

এর আগে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট থাকার সময় তালেবানের সাথে চুক্তিতে পৌঁছেছিলেন যে, ২০২১ সালের মে মাসে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহার করা হবে। কিন্তু বাইডেন জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর সে সময়সীমা পিছিয়ে দেন।

ads

হোয়াইট হাউজে এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, ‘আফগানিস্তানে আর এক বছর বেশি যুদ্ধ করে কোন সমাধান আসবে না।’ তালেবান আফগানিস্তান দখল করে নিতে পারবে না বলেও মনে করেন বাইডেন। তিনি বলেন, আফগানিস্তানের তিন লাখ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের কাছে তালেবানের ৭৫ হাজার সদস্য কিছু করতে পারবে না।

তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পরও দেশটিতে মার্কিন দূতাবাস, কাবুল বিমানবন্দর এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তার জন্য ৬৫০ থেকে এক হাজার মার্কিন সেনা রাখা হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক জনমতে জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ মানুষ আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে। তবে রিপাবলিকান সমর্থকরা সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে কিছু সন্দিহান।

বাইডেন বলেন, মার্কিন বাহিনীর সাথে যেসব আফগান বাসিন্দা অনুবাদক এবং অন্যান্য ভূমিকায় কাজ করেছে, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত আড়াই হাজার বিশেষ অভিবাসী ভিসা ইস্যু করা হয়েছে উল্লেখ করে বাইডেন বলেন, এদের মধ্যে অর্ধেক সংখ্যক আসতে পেরেছে।

গত মাসে হোয়াইট হাউজে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে বাইডেন আফগান নেতাদের আশ্বস্ত করেছিলেন যে দেশটিতে মার্কিন সহায়তা অব্যাহত থাকবে। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি মনে করেন, জঙ্গিদের মোকাবেলা করার জন্য সরকারি বাহিনীর সক্ষমতা আছে। যদিও তালিবানের অব্যাহত হামলায় আফগানিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর বহু সদস্য প্রতিবেশী দেশে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বলে খবর বেরিয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত