19047

ছুটিতে আটকে পড়া বাংলাদেশীদের মালয়েশিয়ায় ফেরা শুরু

ডেস্ক নিউজ: করোনা মহামারীর আগে ছুটিতে নিজ দেশে এসে আটকা পড়া শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় ফেরার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইতোমধ্যে অনেকেই দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি পেয়ে ফেরতে শুরু করেছেন।

জানা গেছে, মাই ট্রাভেল পাস নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করে অনুমতি পেয়ে শর্তসাপেক্ষ দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে আটকে পড়াদের। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ার।

ads

হাইকমিশনার জানান, এ ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া সরকারের নীতিমালাগুলো অনুসরণ করতে হবে। যারা পিএলকেএস-এর ক্যাটাগরি প্লানটেশন, এগ্রিকালচার ও কনস্ট্রাকশন ভিসা রয়েছে তারা আগে অনুমতি পাচ্ছেন। কারণ এসব সেক্টরে শ্রমিক সঙ্কটের কারণে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।

গত বছরের মার্চে করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকেই টানা লকডাউনে চলে যায় অন্যান্য দেশের মতো মালয়েশিয়া। এ সময় পারমিটধারী বাংলাদেশী কর্মীরা যারা ছুটিতে দেশে যান তারা ফেরতে পারেননি। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ প্রবাসীর ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে। আয় বন্ধ থাকায় দেশে পরিবার নিয়ে অনেকটা মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। অন্য দিকে করোনার কারণে মালয়েশিয়ার অর্থনীতি ও জিডিপি বিগত ২২ বছরের মধ্যে এবার প্রথম হুমকির মুখে পড়েছে। শ্রমিক সঙ্কটে দেশটির শিল্প উৎপাদনে ধস নেমেছে।

ads

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় ফেরা না ফেরা নির্ভর করছে স্ব স্ব মালিক বা নিয়োগকর্তার সহযোগিতার ওপর। আবেদন করে মালিকের মাধ্যমে ইমিগ্রেশন বিভাগের অনুমতি নিলেই দেশটিতে প্রবেশ করা সম্ভব। কোনো দালাল বা এজেন্টের মাধ্যমে কন্ট্রাক করে প্রতারিত না হওয়ার জন্য দূতাবাস থেকে সতর্ক করা হয়েছে। কারণ দালাল বা এজেন্ট এ সংক্রান্ত কোনো ক্ষমতা রাখে না।

হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ার জানান, আবেদন প্রক্রিয়ার প্রথমেই মালিকের সাথে যোগাযোগ করে পাসপোর্ট ও ভিসার কপি মাই ট্রাভেল পাস নামক ওয়েবসাইটে সাবমিট করতে হবে। এরপর আবেদন গৃহীত হলে করোনা টেস্ট রিপোর্ট, বিমান টিকেট, কোয়ারেন্টিনে থাকার খরচের ব্যবস্থা করতে হবে।

ছুটিতে থাকা প্রবাসীদের ফেরার ব্যাপারে মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের হাইকমিশনার গোলাম সারোয়ার বলেন, দেশে ছুটিতে গিয়ে যে সকল প্রবাসী আটকে আছেন তাদেরকে মাই ট্রাভেল পাস অ্যাপসের মাধ্যমে আবেদনের ভিত্তিতে পর্যায়ক্রমে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তবে এটি নির্ভর করছে সম্পূর্ণ নিয়োগকর্তার ওপর। এ জন্য সবাইকে যার যার নিয়োগকর্তার সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।

ad

পাঠকের মতামত