11305

করোনা বিষ্ফোরণের আশঙ্কায় কুমিল্লার ময়নামতি জাদুঘরসহ পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ, দুই ঈদে প্রায় অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে সরকার

তৌহিদ খন্দকার তপু।।  কুমিল্লার পর্যটন এলাকাগুলোতে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় দুইধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহাতেই দর্শনার্থীদের ভীড় সবচাইতে বেশী চোখে পড়ে তবে এবার করোনার সংক্রমন এড়াতে পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকায় দর্শনার্থী শূণ্য এসকল এলাকা।
কুমিল্লা ময়নামতি যাদুঘর, শালবন বৌদ্ধ বিহার, আনন্দ বিহার, ইটাখোলা মুড়া, রূপবান মুড়া, হাতীগাড়া মুড়া, রানী ময়নামতির প্রাসাদ, লালমাই পাহাড়সহ নানান পর্যটন ক্ষেত্রে সমৃদ্ধ কুমিল্লা জেলা। প্রতিবছর প্রচুর দর্শনার্থী আসে ৭ম-১২শ শতাব্দীর এসব পূরাকীর্তি দেখতে। স্কুল-কলেজ কিংবা অফিসের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসে এসব এলাকায়। এবছর অনেকেই না জেনে ঘুরতে আসলে ও হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন তারা । অবিলম্বে এসকল পর্যটন এলাকাগুলো খুলে দেয়ার দাবী তাদের।
প্রায় হাজার বছরের পুরোনো বৌদ্ধ বিহার এবং এসব প্রতœ এলাকা থেকে পাওয়া নানান প্রতœসামগ্রী দেখতে কুমিল্লার কোট বাড়ি এলাকায় বনভোজনে আসে দেশের বিভিন্ন এলাকার দর্শনার্থীরা। ময়নামতি যাদুঘর এবং শালবন এলাকায় প্রতিদিন গড়ে ১৫ থেকে ২০ হাজার দর্শনার্থী আসে।
এই পর্যটনকেন্দ্র গুলোকে ঘিরে গড়ে উঠা ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানগুলোও গুনছে লোকসান। গত দুই ঈদে ব্যাবসা না করতে পেরে অনেকেই দিন কাটাচ্ছে বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
পর্যটন অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম ও সিলেট জোনের পরিচালক ড. আতাউর রহমান জানায়, কুমিল্লা জেলা দেশের অন্যান্য জেলাগুলো থেকে প্রতœ সম্পদে অনেক বেশী সমৃদ্ধ। করোনা মহামারীর কারোনা সরকার প্রায় অর্ধকোটি টাকা রাজস্ব হারাবে এবার। স্বাস্থ্যবিধি মেন এই পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়ার দাবী তার।
সচেতন নাগরীক কমিটি (সনাক) এর কুমিল্লা জেলার সভাপতি বদরুল হুদা জেনু বলেন, করোনা মোকাবেলা করতে গিয়ে মানুষ ঘরে থাকতে থাকতে হাপিয়ে উঠেছে। বিশেষ করে বাচ্চাদের বিনোদন ও মেধার বিকাশের জন্য এসকল পর্যটন এলাকাগুলো বিশেষ ভ’মিকা রাখে। সরকার স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসকল পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে এমনটাই প্রত্যাশা করছি।
এই মহামারীকে জয় করে দেশের মানুষ আবার ঈদ আনন্দে মেতে উঠবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

ads
ad

পাঠকের মতামত