কুমিল্লা জেলা পুলিশের জালে ভূয়া ডিআইজি
মাইনুল হক: ডিআইজি-এসপি পরিচয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ নামে এক প্রতারককে আটক করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ। গতকাল সোমবার তাকে ঢাকার খিলগাও থেকে আটক করে পুলিশের একটি টিম। এসময় তার সহযোগী ও গাড়ি চালক রুবেলকে আটক করা হয় এবং প্রতারকের ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার জব্দ করে পুলিশ।
আজ সকালে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
পুলিশ সুপার জানান, ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ আজাদ দীর্ঘদিন যাবত ডিআইজি, এসপিসহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে প্রতারনা করে আসছিলো। এপর্যন্ত অন্তত ১১ জন তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের প্রতারণার অভিযোগ করেছে। এই প্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলা পুলিশ তাকে আটক করে। পুলিশের পরিচয় দিয়ে পুলিশে চাকরি দেয়া ও বদলিসহ নানান কাজ করে দেবার প্রতিশ্রুতিতে এসব টাকা নেয় ফখরুদ্দিন। ব্যক্তি ও পরিবেশ বিবেচনায় কখনো ডিআইজি, কখনো এসপির পরিচয় দেয় সে। ১৯৯১ সালে ফখরুদ্দিন সাব-ইন্সপেক্টে হিসেবে যোগ দিলেও ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে সে চাকরিচ্যুত হয়। ২০০০ সালে ডিবি পুলিশের পরিচয়ে ছিনতাইকালেও গ্রেফতার হয়। ছাড়া পেয়ে সে আবারো প্রতারণা কর্মকান্ড চালায়। তার বিরুদ্ধে আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
প্রতারক ফখরুদ্দিন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার বাকুই গ্রামের মৃত আবদুল হামিদের ছেলে। পুলিশের অভিযানে ফখরুদ্দিনের খিলগাওয়ের বাসা থেকে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার পোষাক পরিহিত ছবি, ব্যবহৃত ভুয়া সিল-অফিসিয়াল ডকুমেন্ট উদ্ধার করা হয়েছে।