মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সততার সাথে কাজ করি: এমপি বাহার
মাইনুল হক: কুমিল্লা সদর আসনের সাংসদ হাজী আকম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, আমি কুমিল্লায় সুস্থ ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি। আওয়ামী লীগ গরিব ও দুস্তদের টাকা পয়সা খেয়ে রাজনীতি করে না। উন্নয়নে সকল স্তরের মানুষের কথা চিন্তা করে। আমি যতবার নির্বাচিত হয়েছি কুমিল্লার উন্নয়নের কথা চিন্তা করেছি। আগামীতে এই নেতাকর্মীদেরকে সাথে নিয়ে উন্নয়নে কুমিল্লাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবো। একসময় এই এলাকা বঙ্গবন্ধুর ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত ছিল। জিয়াউর রহমানের হাঁ এবং না ভোটের সময় কুমিল্লার মধ্যে এই কালির বাজারে সবচেয়ে বেশি না ভোট পরেছিল। কুমিল্লার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সারা জীবন সততার সাথে কাজ করে আসছি। আমার কর্মীদেরও সততার সাথে কাজ করতে হবে। ২৩ বছর দলে পদ বঞ্চিত ছিলাম। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে বিচ্যুত হই নি। ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর কুমিল্লা শহরে ওয়ার্ডে ঘুরে সংগঠন তৈরী করেছি। তখন আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ করা মানুষ পাওয়া কঠিন ছিল। আজকে যেমন আমাকে ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে রাজনীতি করতে হচ্ছে, সেদিনও ষড়যন্ত্র ছিল। আমি সেই ৮৪ সাল থেকে ষড়যন্ত্রের মধ্যে দিয়ে রাজনীতি করতে হয়েছে। আমি ১৯৮০ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙ্গিয়ে ছিলাম। আমাকে অনেকে মন্ত্রী বানানোর অফার দিয়েছিল। আমাকে বঙ্গবন্ধুর ছবি নামিয়ে ফেলার জন্য বলেছিল। আমি বলেছিলাম আমি বঙ্গবন্ধুর ছবি নামাবো না দরকার হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনার আদর্শকে লালন করে কাজ করতে হবে। আমাদের প্রতিটি কর্মীর কর্মকান্ডের সাথে দলের সুনাম জড়িত। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার সুনাম জড়িত। তাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে শেখ হাসিনার যোগ্য কর্মী হিসেবে কাজ করতে হবে। ত্যাগের মহিমায় দলকে গড়তে হবে। এক সময় পকেট কমিটি দিয়ে কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ চলতো। আমরা দলের ত্যাগী-পরীক্ষিত কর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠন করেছি।
আকবর হোসেন আওয়ামী লীগের কারনে ৬ বার এমপি নির্বাচিত হয়েছিল। ঐ সময়টাতে কুমিল্লাতে আওয়ামী লীগের লোকেরা বিএনপিতে ভোট দিত। কিন্তু এখন দেখেন বিএনপি করে আওয়ামী লীগে ভোট দেয়।
কুমিল্লা সদর আসনের সাংসদ হাজী আকম বাহাউদ্দিন বাহার আরো বলেছেন, কুমিল্লার নাম বাদ দিয়ে বিভাগ ঘোষনার চক্রান্ত হয়েছে। আয়নামতি-ময়নামতি নামে কোন বিভাগ নয়, ‘কুমিল্লা বিভাগ’ নামেই বিভাগ হবে। এটা কুমিল্লার গণমানুষের দীর্ঘদিনের দাবি। সকল চক্রান্ত মোকাবেলা করে ‘কুমিল্লা বিভাগ’ নামেই বিভাগ করা হবে। এর ব্যতিক্রম হলে কুমিল্লার জনগন তা মানবে না।
আমার মনে হয় আজকে যারা এখানে আওয়ামীলীগে যোগদান করতে এসেছেন তারা থেকেই বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারন করেন।
শিল্পপতি ও স্টার গোল্ড গ্রুপের পরিচালক নূরুল ইসলাম নূরের নেতৃত্বে চার শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আওয়ামীলীগের যোগদান উপলক্ষে রবিবার (২৯সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা সদর উপজেলার কালিরবাজার সিআইপি মাকেট প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাজী বাহার এমপি এসব কথা বলেন। কালিরবাজার সিআইপি আবুল কালাম ব্রাদার্স মাকেট প্রাঙ্গনে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপির হাতে ফুল দিয়ে প্রবাসীসহ তরুন ভোটার, বিভিন্ন পেশার লোকজন ও বেশ কিছু নেতাকর্মীরা বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগের যোগদান করেন। এসময় “জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু” স্লোগানে মুখর হয়ে উঠে পুরো এলাকা।
কালিরবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুস সোবাহান ভূইয়ার সভাপতিত্বে যোগদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এড. মো.আমিনুল ইসলাম টুটুল, আদর্শ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক কাজী আবুল বাসার,সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান তারিকুর রহমান জুয়েল, কালিরবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.সেকান্দর আলী, ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারন সম্পাদক মো.ইউনুছ প্রমুখ। এসময় উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান এড.হোসনেয়ারা বকুল, কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হক, দুবাই প্রবাসী শিল্পপতি স্টার গোল্ড গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সিআইপি আবুল কালাম, সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন খান জম্পি, কাউন্সিলর শাহ আলম খান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক দুলাল মাহমুদ, সদস্য মোখলেছুর রহমান, আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী উপ¯ি’ত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাংবাদিক এম এইচ মনির ও ইউনিয়ন আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.সোলেয়মান।