1890

কুমিল্লায় মহাসড়কে এএসআইসহ নিহত ৩ আহত ৫

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের এএসআই আকতার হোসেনসহ তিনজন নিহত ও অপর ৫ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঘোলপাশা ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার ছোট বাতুয়া গ্রামের দুলা মিয়ার ছেলে এএসআই আকতার হোসেন (৪২), কাভার্ডভ্যানের হেলপার লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার নন্দীগ্রামের ইসমাইল হোসেন বাবুলের ছেলে মো. সুমন (২৬) ও নোয়াখালীর সেনবাগ থানার নিজ সেনবাগ গ্রামের ছালেহ আহমদের ছেলে মো. ফাহাদ (২৬)। এ ঘটনায় গুরুতর আহত দু’জন হলেন- চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে রেকার চালক স্বপন (২৮) ও তার ভাই হেলপার মামুন (১৬)। তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আহত অপর তিনজনের পরিচয় জানা যায়নি।

মিয়াবাজার হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সার্জেন্ট আবুল কালাম আজাদ বলেন, আজ সোমবার ভোর সোয়া ৫ টায় সৈয়দপুর এলাকায় চট্টগ্রামমুখী কাভার্ডভ্যান (ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-৮৩৮৬) বিকল হয়ে সড়কের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলো। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশের এএসআই আকতার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম পুলিশ পিকআপ ও রেকারসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
যানজট ঠেকাতে তাৎক্ষণিক দুর্ঘটনা কবলিত কাভার্ডভ্যানটি সরাতে রেকারের মাধ্যমে কাজ শুরু করে। এ সময় দ্রুতগামী অপর একটি কাভার্ডভ্যান ওই কাভার্ডভ্যানকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়।

ads

এতে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যান রেকারে, রেকার সামনে থাকা পুলিশ পিকআপ ভ্যানে ধাক্কা দেয়। এ সময় পুলিশ পিকআপ ভ্যানটি সামনে দাঁড়ানো এএসআই আকতার হোসেনকে চাপা দিয়ে আরেকটি কাভার্ডভ্যানকে ধাক্কা দেয়।

এতে ঘটনাস্থলে এএসআই আকতার হোসেন, প্রথম কাভার্ডভ্যানের হেলপার সুমন নিহত হন। অন্য গাড়ির হেলপার ফাহাদ, রেকার চালক স্বপন ও তার ভাই হেলপার মামুনসহ ৬ জন আহত হন।

ads

আহতদের উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে পথিমধ্যে হেলপার ফাহাদের মৃত্যু হয়।

এদিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হাইওয়ে পুলিশের এসপি নজরুল ইসলাম, এএসপি রহমত উল্যাহ ও সার্কেল আমিনুল ইসলামসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

ad

পাঠকের মতামত