প্রিন্সেস ডায়ানার প্রয়াণ
লেডি ডায়ানা ফ্রান্সেস স্পেন্সারের (বিবাহ পরবর্তী নাম ডায়ানা ফ্রান্সেস মাউন্টব্যাটেন-উইন্ডসর) জন্ম ১৯৬১ সালের ০১ জুলাই। ডায়ানা যুবরাজ চার্লসের প্রথম স্ত্রী এবং ১৯৮১ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত সময়ের যুক্তরাজ্যের যুবরাজ্ঞী। ১৯৮১ সালের ২৯ জুলাইয়ে লন্ডনের সেন্ট পল’স ক্যাথেড্রালে প্রিন্স চার্লসের সাথে ডায়নার বিয়ে হয়। লন্ডনের সেন্ট পল’স ক্যাথেড্রালে অনুষ্ঠিত তাঁদের বিয়ে সরাসরি সম্প্রচারিত হয় বিশ্ব মিডিয়ায়, যার সাক্ষী হয়েছিলো বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ। বিয়ের ১১ মাসের মাথায় ১৯৮২ সালের ২১ জুন জন্ম নেয় চার্লস ও ডায়ানার ভালোবাসার প্রথম উপহার প্রিন্স উইলিয়াম আর্থার ফিলিপ লুইস। ১৯৮৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয় তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান প্রিন্স হেনরি চার্লস অ্যালবার্ট ডেভিড (প্রিন্স হ্যারি)।
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ডায়ানার পরিচিতি ব্যাপক। তিনি দানশীলতার জন্য খ্যাত ছিলেন। চার্লসের সঙ্গে ১৯৮১ সালে বাগদানের পর থেকে ১৯৯৭ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ডায়ানাকে বলা হতো পৃথিবীর সবচেয়ে খ্যাতিমান নারী।পোশাক সচেতনতা দিয়ে ফ্যাশন আইকন বা কোটি তরুণের চোখে মোহময়ীই তিনি কেবল হননি, তিনি ভেবেছিলেন সাধারণ মানুষের জন্য। এইচআইভি সম্পর্কিত সচেতনতা তৈরিতে নানা ক্যাম্পেইনে সরাসরি যুক্ত থাকার পাশাপাশি এইডস আক্রান্তদের জন্যও মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ডায়ানা। সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করা দাতব্য সংস্থাগুলোর অনুদান যোগাড়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতেন তিনি। ফ্যাশন, সৌন্দর্য, এইডস রোগ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি এবং ভূমি আইনের বিরুদ্ধে তার আন্দোলন তাকে বিখ্যাত করেছে। ১৯৯৭ সালের ৩১ আগস্ট ফ্রান্সের প্যারিস শহরে মর্মান্তিক গাড়ি দুর্ঘটনায় নিহত হন তিনি।