খ্রিষ্টান থেকে মুসলিম হলেন কুড়িগ্রামের ৩১ জন নারী-পুরুষ
খ্রিস্টধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম গ্রহণ করেছেন কুড়িগ্রামের ৩১ জন নারী-পুরুষ। তারা ইতিপূর্বে মুসলমান ছিল, কিন্তু খ্রিস্টান সংস্থাগুলোর বিভিন্ন প্রলোভণে ফাঁদে পরে খ্রিষ্টান হয়ে গিয়েছিল। গতকাল (২১ আগস্ট) বুধবার দুপুরে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলা বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন সাবীলুর রাশাদ ক্যাডেট মাদরাসায় তারা আবারো ইসলামের সুশীতল ছায়ায় ফিরে আসেন।
উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের মুফতী শামসুদ্দিন তাদের কালিমা পড়িয়ে মুসলমান বানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন তালিমুদ্দিন ফাউন্ডেশনের পরিচালক আবদুস সবুর খান, খুতবা টিভির পরিচালক মাওলানা আমিনুল ইসলাম, ইসলামী দাওয়াহ ইনস্টিটিউটএর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা আব্দুল বাসির।
আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ওলামায়ে কেরামদের মধ্য থেকে মুফতী আব্দুল হান্নান কাসেমী, নাগেশ্বরী কওমী মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা আমিনুল ইসলাম, ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতী জামাল উদ্দিন, মুফতী ওসমান গনি, মাওলানা ফরিদ, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার মুফতী জিয়া, কুড়িগ্রাম সদরের বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ওলামায়ে কেরামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
রাশাদ ক্যাডেট মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মোহাম্মদ ফিরদাউস হাসান জানান, নতুন করে ইসলাম গ্রহণ করা ৩১ জনই পূর্বে মুসলিম ছিল। খ্রিস্টান সংস্থাগুলোর বিভিন্ন প্রলোভন ও আর্থিক দৈন্যদশার কারণে তারা দলবদ্ধভাবে খ্রিষ্টান হয়ে যায়। খ্রিষ্টান হয়ে যাওয়ার পর পুনরায় মুসলমান হওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তাদের ওপর দাওয়াতী কাজ চালানো হয়।
এরই ফলশ্রুতিতে তারা আবার ইসলামে ফিরে এসেছেন বলে হাফেজ মোহাম্মদ ফিরদাউস হাসান। তিনি আরো বলেন, মুসলমানদেরকে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে এবং ধর্মের ও কোরআনের মিথ্যা অপবাদ অপব্যাখ্যা দিয়ে যেভাবে খ্রিস্টান বানানো হচ্ছে তা সরকারের খতিয়ে দেখা দরকার।
ধর্মপ্রচারের অধিকার সকলেরই রয়েছে কিন্তু মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ধর্মপ্রচারের অধিকার কারো নেই।