1472

কুমিল্লার মসলার বাজারে আগুন!

ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের বাকি আছে আর অল্প কিছু দিন। এরই মধ্যে কুমিল্লার মসলার বাজারে আগুন। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। মসলার দাম ক্রমান্বয়ে সাধারণ ক্রেতাদের ক্রয় সীমার বাহিরে চলে যাচ্ছে। গেল দুই সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে কয়েকগুন। অস্থির কুমিল্লার মসলার বাজারে গিয়ে উৎকন্ঠায় রয়েছে ক্রেতা সাধারণও। বুধবার সকালে কুমিল্লা মহানগরীর চকবাজার, নিউমার্কেট, রাজগঞ্জ, রানীর বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন চিত্রই ফুটে উঠেছে। দাম বৃদ্ধির বিষয়ে তেল-গ্যাস, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করেছে বিক্রেতারা তবে অতিরিক্ত দামের জন্য জরিমানার হুশিয়ারি দিয়েছে কুমিল্লার ভোক্তা অধিদপ্তর।

এই সময়ে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে এলাচ, জয়ত্রী, দারুচিনি, আদা, রসুন, পেঁয়াজ, জিরা, লবঙ্গ, হলুদ, ধনে ও তেজপাতাসহ সব ধরনের মসলার। রাজগঞ্জ ও নিউমার্কেটে দাম বেশি। চকবাজার, টমছমব্রীজ, পদুয়ার বাজার, বাদশা মিয়ার বাজারে উক্ত বাজার খেকে কিছুটা কম। তবে পাড়া মহল্লার বিভিন্ন দোকান ও সুপারশপগুলোতে অতিরিক্ত দামে মসলা বিক্রি করতে দেখা গেছে। জাত ও মানভেদে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৫-৩৫, বড় রসুন ১৪০-২০০, রসুন ছোট ১৬০-২২০, মরিচ গুঁড়া ১৮০-২২০, হলুদ গুঁড়া ২০০-২৫০, আদা ১০০-১৪০, জিরা ৩৮০-৪৫০, দারুচিনি ৪২০, ছোট এলাচ ২৪০০-২৫০০, বড় এলাচ ২৮০০-৩২০০, লবঙ্গ ৯০০-১২০০, জয়ত্রী ২৩০০, সাদা সরিষা ১২০, কালো সরিষা ১০০, ধনে ১২০-১৫০, ধনে গুড়া ২০০, তেজপাতা ১৩০-১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাদশা মিয়ার বাজারে মসলা কিনতে এসেছেন ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী রুবেল। তিনি বলেন, বাজারটা ঈদের চাপ বাড়ার আগেই শেষ করে ফেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু এসে দেখছি আগে থেকেই সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। কি আর করা ঈদ উপলক্ষে ক্রয় করতে হবেই।
রাজগঞ্জ বাজারের মসলা বিক্রেতা রিপন মিয়া বলেন, আমাদের বেচাকেনা নির্ভর করে পাইকারি বাজারে দামের উপর। আমরা সবধরনের মসলা ২-৩ কেজি করে কিনে ৫০-১০০ গ্রাম করে বিক্রি করি। পাইকারি বাজারে দাম বেশি হলে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। রাজগঞ্জ বাজার দোকান মালিক ও ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, মসলার দাম আগের মতই আছে। কোনো সিন্ডিকেট যেন বাজারে কাজ না করতে পারে সে বিষয়ে কমিটি সতর্ক রয়েছে। অতিরিক্ত দামে মসলা বিক্রি করলে জরিমানাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থার হুশিয়ারি দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরও। জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদফতর কুমিল্লা জেলার সহকারী পরিচালক মো. আসাদুল ইসলাম সময়ের আলোকে বলেন, মসলার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ আসেনি। আমরা নিয়মিত বাজার পরিদর্শন করছি। মসলা কেনার সময় ক্রেতা ব্যবসায়ীদের রশিদ সঙ্গে রাখতে হবে। রশিদ দেখাতে না পারলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।

ads
ad

পাঠকের মতামত