86

চলচ্চিত্রের সংকটময় অবস্থা কেটে ওঠা সম্ভব: ফারুক

‘হল মালিকরা হলগুলোর পরিবেশ ঠিক করুন। দর্শকদের সুন্দর পরিবেশে ছবি দেখার ব্যবস্থা করুন। আর নির্মাতারা ভালো স্ক্রিপ্টের সিনেমা বানান। ভালো সিনেমা নির্মাণ করলে হলে দর্শকের অভাব হবে না। আমি গ্যারন্টি দিয়ে বললাম সিনেমা চলবে। আর যদি সিনেমা না চলে আমি হাত কেটে দেব! ভালো সিনেমা নির্মাণ করতে পারবেন না। শুধু সরকারের সাথে চিল্লাচিল্লি করেন। ক্ষোভ নিয়েই এভাবে কথাগুলো বলছিলেন ঢাকাই সিনেমার মিঞা ভাই খ্যাত চিত্রনায়ক ফারুক।’

তিনি বলেন, ‘দেশের হলগুলোর জন্য যৌথ প্রযোজনা কিংবা অন্যদেশের ছবি চালানো অনেকাংশে সময় সাপেক্ষ হয়েছে। কারণ আপনারা ভালো সিনেমা বানাবেন না আবার সিনেমা বানালেও উৎসবের অপেক্ষায় থাকবেন। সিনেমা হল মালিকরা কী আপনার একটা ছবির জন্য বসে থাকবেন? এসব কারণে আজ হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। হল মালিকদের ছবি দেন ইন্ডাস্ট্রি ঘুড়ে দাঁড়াবে।’

ads

তিনি আরো বলেন, আমাদের ইন্ডাস্ট্রি বাঁচাতে আমাদের হলগুলোর পরিবেশ ঠিক করতে হবে। কলকতার সাথে আমাদের বেশি বেশি যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণ করতে হবে। এককথায় হলগুলোতে প্রতি সপ্তাহে নতুন নতুন সিনেমা দিতে হবে। তবেই আমাদের চলচ্চিত্রের সংকটময় অবস্থা কেটে ওঠা সম্ভব হবে।

স্কুলজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ১৯৬৬ সালে ছয়দফা আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৭ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

ads

ফারুক ১৯৭১ সালে এইচ আকবর পরিচালিত জলছবি চলচ্চিত্রে কবরীর বিপরতী অভিনয় করে রুপালী পর্দায় পা দেন। ১৯৭৩ সালে খান আতাউর রহমান পরিচালিত ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ১৯৭৪ সালে নারায়ণ ঘোষ মিতা পরিচালিত আলোর মিছিল দুটি মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক চলচ্চিত্রে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করেন।

নায়ক ফারুক ‘সুজন সখী’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘সাহেব’, ‘দিন যায় কথা থাকে’সহ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তার অভিনীত বেশির ভাগ চলচ্চিত্রই ব্যবসা সফল হয়।

নায়ক ফারুক অভিনয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র প্রযোজনা ও ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত। তবে চলচ্চিত্রের মানুষের কাছে তিনি সবার প্রিয় ‘মিঞাভাই’।

ad

পাঠকের মতামত