60678

পর্তুগালে অনিয়মিত অভিবাসী প্রত্যাবর্তন আইন উত্থাপন ডিসেম্বরে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পর্তুগালের সংসদে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই দেশটিতে অবৈধ অভিবাসীদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে নতুন অভিবাসী প্রত্যাবর্তন আইন উত্থাপন করা হবে, এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্সি মন্ত্রী আন্তোনিও লেইতাঁও আমারো। সংসদে ২০২৬ সালের রাষ্ট্রীয় বাজেটের বিশেষায়িত আলোচনায় তিনি বিষয়টি উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী আরও জানান, আগামী মাস থেকেই নতুন আইন নিয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সঙ্গে আলোচনা শুরু হবে। তারপর ডিসেম্বরের মধ্যে এটি পার্লামেন্টে উপস্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, বর্তমানে অভিবাসন ব্যবস্থায় নিরাপত্তা ও মৌলিক অধিকার রক্ষার ভারসাম্য বজায় রাখার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

ads

সাম্প্রতিক সময়ে মরক্কো থেকে আগত অভিবাসীদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের অপব্যবহার নিয়ে আলোচনা হলে মন্ত্রী জানান, আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে খুব কম এবং পর্তুগালে উত্তর ও মধ্য ইউরোপের মতো ব্যাপক হারে অনুপ্রবেশ ঘটছে না।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২২ সালে পর্তুগালে আশ্রয়ের জন্য ২,০০০টি আবেদন করা হয় এবং চলতি বছরের শুরু সংখ্যাটি ১,৩০০। পর্তুগালে বর্তমানে ১.৫ মিলিয়ন অভিবাসী এবং ৬৫ হাজার আন্তর্জাতিক সুরক্ষা-প্রাপ্ত ব্যক্তি আছেন। তাদের মধ্যে ৬১ হাজারই ইউক্রেন থেকে আগত। মন্ত্রী বলেন, পর্তুগালে ব্যাপক চাপ নেই, তবে নির্দিষ্ট কিছু পরিস্থিতি সীমিত রাখার প্রয়োজন রয়েছে।

ads

আলোচনার সময় সংসদের অন্যান্য সংসদ সদস্যদের একাংশ নতুন আইনের মাধ্যমে রেমিগ্রেশন প্রয়োগের আশঙ্কা প্রকাশ করলে মন্ত্রী তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন এবং বলেন, প্রস্তাবিত আইনটি কারও মৌলিক অধিকার খর্ব করবে না বা অযৌক্তিক ফেরত পাঠানো শুরু করবে না। এসময় কট্টর ডানপন্থী সংসদরা রেমিগ্রেশন বাস্তবায়ন করার উপর জোর দেন।

উল্লেখ্য যে, গত মাসেই বিভিন্ন কঠোর নীতি নির্ধারণ করে দেশটির অভিবাসন আইন পরিবর্তন করা হয়। এমনকি এক সপ্তাহ আগেও দেশটিতে বসবাসরত অভিবাসীদের পর্তুগিজ নাগরিকত্ব আবেদনের সময় ১০ বছর বাড়িয়ে সংসদে ইউরোপের অন্যতম কঠোর নাগরিকত্ব আইনের অনুমোদন দেয়া হয় যা রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত