
ট্রাম্প গাড়ির শুল্ক প্রত্যাহার করতে পারেন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী ২ এপ্রিল গাড়ির শুল্কের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নাও দিতে পারেন। ট্রাম্প গতমাসে বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত গাড়ির ওপর প্রায় ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তিনি এও বলেন, আমরা ২ এপ্রিল এটি করতে যাচ্ছি। খবর: এনএইচকে।
ব্লুমবার্গ এবং অন্যান্য মার্কিন গণমাধ্যমের বরাতে জাপানের গণমাধ্যম এনএইচকে জানায়, বিষয়টি সম্পর্কে অবগত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের সেদিন গাড়ি, সেমিকন্ডাক্টর চিপ, ওষুধ এবং অন্যান্য পণ্যের ওপর খাতভিত্তিক শুল্ক ঘোষণা করার সম্ভাবনা কম। প্রতিবেদনগুলোয় কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, গাড়ির ওপর শুল্ক আরোপের বিষয়টি এখনও বিবেচনা করা হচ্ছে। ট্রাম্প এর পরিবর্তে ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক ঘোষণা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তখন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর শুল্ক বা প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, এমন দেশগুলো এর লক্ষ্য হবে।
এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনার সময় ট্রাম্প জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মেক্সিকো, কানাডা, ভারত এবং চীনকে বাণিজ্যের অপব্যবহারকারী হিসেবে উল্লেখ করেন। বিশ্ব বাণিজ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যায্য পাওনা ফিরে পাওয়ার লড়াইয়ে তিনি এ হুমকি দিলেন। তার মতে, গাড়ি ও ওষুধ আমদানি পণ্য এবং অর্ধপরিবাহী পদার্থের ওপর ২৫ শতাংশের মতো শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে।
২ এপ্রিল থেকে নতুন শুল্ক কার্যকর হওয়ার আগে মন্ত্রিসভার সদস্যরা ১ এপ্রিল ট্রাম্পকে নানা আমদানি শুল্কের সম্ভাব্য বিকল্প উপস্থাপন করবেন, যা বৈশ্বিক বাণিজ্যের কাঠামো পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রেসিডেন্টের অভিযোগ, বিদেশি বাজারে রফতানিকৃত মার্কিন গাড়ির প্রতি অন্যায্য আচরণ করা হয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মার্কিন গাড়ির ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। অথচ মার্কিন যাত্রীবাহী গাড়ির আমদানি শুল্ক এর চার ভাগের এক ভাগ, ২ দশমিক ৫ শতাংশের মতো। অবশ্য, মেক্সিকো ও কানাডা বাদে অন্যান্য দেশ থেকে আসা পিকআপ ট্রাকের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে মার্কিন প্রশাসন, যা ডেট্রয়েট অঙ্গরাজ্যের গাড়ি নির্মাতাদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক।
ওদিকে ইইউ ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গাড়ির শুল্ক কমানোর সংকেত দিয়েছে। যদিও ইউরোপীয় অনেক আইনপ্রণেতা এ দাবি অস্বীকার করেছেন।