47594

ডাচদের গুঁড়িয়ে দশ থেকে সাতে ইংল্যান্ড

স্পোর্টস ডেস্ক: পাঁচ ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেলো ইংল্যান্ড। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে বড় ধাপ ফেললো তারা। নেদারল্যান্ডসকে ১৬০ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলের দশ থেকে সাত নম্বরে উঠে গেলো গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যাওয়ায় ইংল্যান্ডের চোখ এখন ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার যোগ্যতা অর্জনের দিকে। সেজন্য বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবিলে সেরা আটে থাকতে হবে। তাই নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শুধু জিতলেই হবে না, দেখাতে হবে প্রবল দাপট।

ads

নেট রান রেটে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে টপকাতে হলে নেদারল্যান্ডসকে ২৭১ রানের মধ্যে আটকাতে হতো ইংল্যান্ডকে। ৩৩৯ রানের বিশাল পাহাড় গড়ার পর তারা তাদের লক্ষ্য পূরণ করেছে আধিপত্য দেখিয়ে। ৩৮তম ওভারে ১৭৯ রানে নেদারল্যান্ডসকে অলআউট করেছে ইংল্যান্ড।

তাতে ৮ ম্যাচে সমান চার পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কাকে পেছনে ফেলে সপ্তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে ইংল্যান্ড।

ads

লক্ষ্যে নেমে পেসারদের তোপের মুখে পড়ে নেদারল্যান্ডস। ক্রিস ওকস ও ডেভিড উইলির নৈপুণ্যে ১০৪ রানেই তাদের পাঁচ উইকেট তুলে নেয় ইংলিশরা। ম্যাক্স ও’ডাউডকে ফিরিয়ে ওকস বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে যৌথভাবে শীর্ষ উইকেটশিকারি হন। ৩০তম উইকেট নিয়ে ইয়ান বোথামের পাশে বসেন তিনি।

স্কট এডওয়ার্ডস ও তেজা নিদামানুরু ষষ্ঠ উইকেটে প্রতিরোধ গড়েন। তবে তা ভেঙে দিয়ে এই বিশ্বকাপে প্রথম উইকেট পান মঈন আলী। ৫৯ রানে তাদের বিচ্ছিন্ন করেন তিনি। ৩৮ রানে এডওয়ার্ডসকে বোল্ড করেন এই অফস্পিনার।

স্পিন দিয়ে নেদারল্যান্ডসকে নাজেহাল করে ইংল্যান্ড। ১৬৩ রানের পর ভেঙে পড়ে ব্যাটিং লােইন। ১৬ রানের মধ্যে শেষ পাঁচ উইকেট হারায় ডাচরা, যার সবগুলো নিয়েছেন দুই স্পিনার মঈন ও আদিল রশিদ। সর্বোচ্চ ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন নিদামানুরু।

মঈন ও রশিদ সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন।

এর আগে বেন স্টোকসের প্রথম বিশ্বকাপ সেঞ্চুরির সঙ্গে ডেভিড মালান ও ক্রিস ওকসের হাফ সেঞ্চুরিতে এই আসরে নিজেদের সর্বোচ্চ রান করে গত আসরের চ্যাম্পিয়নরা।

পুনেতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সপ্তম ওভার শেষে ৪৮ রান তুলে প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এরপর জো রুট ও মালান ডাচদের ওপর চড়াও হন। তাদের ৮৫ রানের জুটি বিচ্ছিন্ন হয় রুটের (২৮) বিদায়ে। ছয় রানের ব্যবধানে মালানকেও ফিরে যেতে হয় প্যাভিলিয়নে। ৭৪ বলে ১০ চার ও ২ ছয়ে ৮৭ রান করে রানআউট হন তিনি।

আরেকবার বড় ধাক্কা লেগেছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনে। দুইশর আগেই ছয় উইকেট হারায় তারা। স্টোকসকে বড় জুটিতে সাহায্য করতে পারেননি হ্যারি ব্রুক (১১), জস বাটলার (৫) ও মঈন আলী (৩)।

ওকস ক্রিজে নেমে স্বস্তি ফেরান। স্টোকসের সঙ্গে তিনি ১২৯ রানের জুটি গড়েন। ৪৫ বলে ওকসের ৫১ রানের ইনিংস সাজানো ছিল ৫ চার ও ১ ছয়ে। এই জুটিতেই স্টোকস প্রথম বিশ্বকাপ সেঞ্চুরি করেন। ৭৮ বলে তিন অঙ্কের ঘরে যান তিনি। শেষ দুই ওভারে খুব দ্রুত তিন উইকেট পড়ে যায়। ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে ৮৪ বলে ছয়টি করে চার ও ছয়ে ১০৮ রানে থামেন স্টোকস, ম্যাচসেরাও তিনি। ৯ উইকেটে ৩৩৯ রান করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।

ad

পাঠকের মতামত