44738

বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুমিল্লা জিলা স্কুলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

নিউজ ডেস্ক: সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকদের আনন্দ আয়োজন- উল্লাসের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের অন্যতম স্বনামধন্য প্রাচীন বিদ্যাপীঠ কুমিল্লা জিলা স্কুলের ১৮৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। গতকাল ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে কেক কাটা ও বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে অংশ নিয়েছে স্কুলটির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে অংশ নিতে আসা সবাই।

র‌্যালি শেষে কুমিল্লার কান্দিরপাড়ে পূবালী চত্বরে আনন্দর স্লোগানে চারপাশের পরিবেশ মুখর করে তুলে সবাই। ১৮৬ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে নিজস্ব ডিজাইনের টি-শার্ট এবং ফেসবুক ব্যাজ ব্যবহার করে প্রিয় এ প্রতিষ্ঠানটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়েছেন হাজারো শিক্ষার্থী।

ads

স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল হাফিজ জানান, আমরা সংক্ষিপ্ত সময়ে একটি বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে প্রিয় স্কুলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছি। শুধু বর্তমান শিক্ষার্থীরাই নয় অনেকে এসে আমাদের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে।

জানা গেছে, কুমিল্লা জিলা স্কুলের একটি গৌরবময় সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে। ১৮৩৭ সালে এইচ জি লেজিস্টার নামে একজন ইংরেজ শিক্ষক স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনিই ছিলেন এই স্কুলের প্রথম প্রধান শিক্ষক। পরবর্তীতে ব্রিটিশ ভারত সরকার ইংরেজি সাহিত্য ও বিজ্ঞান শিক্ষা প্রসারের উদ্দেশ্যে স্কুলটিকে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের রূপ প্রদান করে এবং “কুমিল্লা জিলা স্কুল” নামকরণ করে। ১৮৫০ সাল পরবর্তী সময়ে, স্কুলের ভবন ও অবকাঠামোগত উন্নয়ন শুরু হয় এবং শিক্ষা প্রদান পদ্ধতির উন্নয়ন ঘটানো হয়। ১৯৩৭ সালে কুমিল্লা জিলা স্কুল এর প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উদ্যাপন করে। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর স্কুলটির শিক্ষাপদ্ধতির পরিবর্তন ঘটানো হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে, স্কুলটি শিক্ষা ও অন্যান্য দিক দিয়ে উন্নয়ন লাভ করতে থাকে।

ads

স্কুলটি একটি বালক উচ্চ বিদ্যালয়। প্রাথমিকভাবে স্কুলটিতে একটি শিফট ছিল। কিন্তু ১৯৯১ সাল থেকে, স্কুলে দুইটি শিফটে বিভক্ত হয়ঃ প্রভাতি ও দিবা। বর্তমানে স্কুলটিতে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। পঞ্চম শ্রেণীতে দুইটি শাখা বিদ্যমান।প্রভাতি ক ও দিবা ক।ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত প্রত্যেক শ্রেণীতে ছয়টি শাখা বিদ্যমান। এগুলো হল, প্রভাতি ক, খ, গ এবং দিবা ক, খ, গ। নবম ও দশম শ্রেণীতেও ৬টি করে শাখা বিদ্যমান। প্রভাতি ক, খ ও গ এবং দিবা ক, খ ও গ। বর্তমানে স্কুলটিতে প্রায় ২০০০ শিক্ষার্থী এবং ৫৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন।

ad

পাঠকের মতামত