44108

নেতানিয়াহুকে সফরের আমন্ত্রণ চীনের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনে একটি সরকারী সফরের আমন্ত্রণ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার এমন তথ্য জানিয়েছেন তিনি। তবে সফরটি শেষ পর্যন্ত হবে কিনা, কিংবা ঠিক কখন হবে- তা তিনি প্রকাশ করেননি।

যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের সফররত সদস্যদের সঙ্গে এক বৈঠকে ইসরায়েলি নেতা এ ঘোষণা দেন। নেতানিয়াহুর চীনে আমন্ত্রণের বিষয়টি ওই অঞ্চলে কূটনৈতিক পদচিহ্ন সম্প্রসারিত করার প্রয়াসে বেইজিংয়ের বেশ কয়েকটি সাম্প্রতিক উদ্যোগেরই একটি বহিঃপ্রকাশ। তবে, সফরটি এমন একটা সময়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যখন বাইডেন প্রশাসন এবং নেতানিয়াহুর অতি-জাতীয়তাবাদী এবং অতি-অর্থোডক্স সরকারের মধ্যে তীব্র মতানৈক্য চলছে।

ads

নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, চীনে এই সম্ভাব্য সফর হবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার চতুর্থ সফর। কার্যালয় থেকে আরও জানানো হয়েছে, তারা আমন্ত্রণের বিষয়টি সম্পর্কে চীনের সাথে বৈরী সম্পর্কের বাইডেন প্রশাসনকে গত মাসে অবহিত করেছে। তবে ভ্রমণের সম্ভাব্য তারিখ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে তারা অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

চীন সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মধ্যপ্রাচ্যের কূটনীতিতে আরও উচ্চকিত ভূমিকা নিয়েছে। গত এপ্রিলে তারা ইসরায়েলের চিরশত্রু, ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের জন্য একটি চুক্তির মধ্যস্থতা করেছে। এছাড়া এই মাসের শুরুতে বেইজিংয়ে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে রাষ্ট্রীয় আতিথেয়তা দেওয়া হয়েছে।

ads

ইসরায়েল এবং চীনের ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে, তবে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইসরায়েলের কূটনৈতিক এবং নিরাপত্তা সম্পর্ক, চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার পথকে আড়ষ্ট করেছে।

নেতানিয়াহু, ইসরাইলের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী। ২০২২ সালের শেষের দিকে ইসরাইলের ৭৫ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কঠোর এবং ধর্মীয় সরকার, অতি-জাতীয়তাবাদী এবং অতি-অর্থোডক্স মিত্রদের সাথে একটি জোট গঠনের পর তিনি আবারও দেশটির ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন।

নেতানিয়াহু দুর্নীতির অভিযোগে বিচারাধীন থাকা অবস্থায়, গত জানুয়ারিতে দেশটির বিচারব্যবস্থার একটি সংস্কারের চেষ্টার পর তার বিরুদ্ধে ব্যাপক গণবিক্ষোভ হচ্ছে।

ad

পাঠকের মতামত