চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান
নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ। চলতি বছর শিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ এ বিভাগীয় পর্যায়ে চট্টগ্রাম বিভাগে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের কৃতিত্ব অর্জন করেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.আবু জাফর খান।সোমবার (২৯ মে) সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান, এনডিসি ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক ড. কাজী গোলাম মাওলা স্বাক্ষরিত সনদ গ্রহণ করেন কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আবু জাফর খান।
সম্মিলিতভাবে বিভাগের ১১টি জেলায় শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষের কৃতিত্ব অর্জনের অনুভূতি প্রকাশ করে প্রফেসর ড.আবু জাফর খান বলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান। শতবর্ষী এ প্রতিষ্ঠানের সুনাম ধরে রেখে সারা দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ কলেজে পরিণত করতে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি। শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাফল্য অর্জনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়সহ এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
উল্লেখ্য গত ৫ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রনালয় সচিব সোলেমান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সারা দেশে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৩ উদযাপনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ধাপে ধাপে দেশের সকল জেলা-উপজেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ। বাছাই পর্বে শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে অভিজ্ঞতা, ছাত্র-ছাত্রী, সহকর্মী ও অভিভবকদের সহযোগিতা, চারিত্রিক দৃঢ়তা, ব্যক্তিত্ব সততা, সুনাম ও প্রশাসনিক দক্ষতাসহ মোট ১০টি যোগ্যতার আলোকে নির্বাচন করা হয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান।
বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী প্রফেসর ড. আবু জাফর খান ১৯৬৬ সালের ৩১ অক্টোবর চাঁদপুর জেলার মতলব (উত্তর) ঠাকুরচর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮১ সালে ছেংগারচর হাইস্কুলে এসএসসি এবং ১৯৮৩ সালে ঢাকা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চ শিক্ষার সােপানে পা রাখেন। ১৯৮৬ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিত বিষয়ে ১ম শ্রেণীতে স্নাতক (সম্মান) এবং ১৯৮৭ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৩ সালে ১১তম বিসিএস মাধ্যমে ক্যাডারভুক্ত হন এবং চাকুরীরত অবস্থায় ২০১১ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি (পিএইচডি) অর্জন করেন।