38823

দুবাইয়ে বইমেলা ও বঙ্গসংস্কৃতি উৎসব যেন এক খন্ড অপূর্ব বাংলাদেশ

নিউজ ডেস্কঃ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল দুবাই ও উত্তর আমিরাত-এর আয়োজনে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত তিনদিনব্যাপী উৎসব মুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ বইমেলা ও বঙ্গসংস্কৃতি উৎসব।

আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি। মেলার উদ্বোধন করেন প্রখ্যাত কবি ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল হোসেন নাসির চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা।

ads

বইমেলায় দেশের খ্যাতনামা ৩০টি প্রকাশনীসহ ৭৫টি স্টল অংশ গ্রহণ করার পাশাপাশি সৃজনশীল কবি ও লেখকদের উপস্থিতি আর সাহিত্যপ্রেমী ও শিল্প-সংস্কৃতিমনা প্রবাসীদের মিলনমেলায় পরিণত হয় এক খন্ড অপূর্ব বাংলাদেশ।

ads

মেলায় হুমায়ূন আহমেদসহ দেশের সেরা লেখকদের বইসহ দেশ ও প্রবাসের প্রতিষ্ঠিত লেখকদের কবিতা, গল্প, ছড়া, উপন্যাস, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ও প্রবাস জীবনের নানা রকম ঘটনা প্রবাহ নিয়ে লেখা বইগুলো বিক্রি হয়েছে চোঁখে পড়ার মতো।

বিশিষ্ট কবি ও লেখক দুবাই ও উত্তর আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেনের ‘নীল লেফাফার চিঠি’, তার ছেলে রুহিন হোসেনের ‘বিগ ব্লাস্ট অফ বিরিলিয়েন্ট স্টোরিজ’ এবং সাংবাদিক কামরুল হাসান জনির ‘ঘরে ফেরার গান’ বইসহ বেশ ক’জন লেখকের বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের পাশাপাশি বইমেলাকে কেন্দ্র করে সাহিত্যপ্রেমী প্রবাসীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ সৃষ্টি হয়।

মেলায় কবিতা আবৃতি, নৃত্য, ফ্যাশন শো, দেশাত্মবোধক, লোক, রবীন্দ্র ও নজরুলসংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে সাংস্কৃতিক আয়োজনকে মনোমুগ্ধকর করে তোলেন বাংলাদেশি ও পশ্চিম বাংলার শিল্পীরা।

মেলার শেষদিন কনসাল জেনারেল বিএম জামাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তারা প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সাহিত্য-সংস্কৃতি তুলে ধরতে এবং বই পড়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
মেলায় আগত দর্শক ও সাহিত্যপ্রেমীরা বলেছেন বইমেলা মানে প্রাণের মেলা, জ্ঞান অর্জনের মেলা, জ্ঞান প্রসারের মেলা। তাই বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, দুবাই-এর উদ্যোগে আমিরাতে এই প্রথম বাংলাদেশ বইমেলা ও বঙ্গসংস্কৃতি উৎসব আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করে ধন্যবাদ জানান এবং প্রতি বছর এমন চমৎকার আয়োজনের দাবি জানান।

পরে কনস্যুলেটের পক্ষ থেকে বিশিষ্ট ব্যক্তি, গুণীজন, কবি, লেখক ও সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের বিজয়ীদের সম্মাননা সার্টিফিকেট ও পুরস্কার প্রদান করা হয়।

ad

পাঠকের মতামত