34992

জিলহজের চাঁদ দেখতে মুসলমানদের অনুরোধ সৌদির

আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সৌদি আরবের মুসলমানদের বুধবার সন্ধ্যায় জিলহজের চাঁদ দেখতে অনুরোধ করেছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার (২৭ জুন) সৌদি প্রেস এজেন্সির বরাতে আল-আরাবিয়া এমন খবর দিয়েছে।

ইসলামিক মাস জিলহজের চাঁদ দেখা মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মাসটির সাত থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত হজ পালনের জন্য নির্ধারিত। এছাড়া ১০ জিলহজ মুসলমানদের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়।

ads

সৌদি সুপ্রিমকোর্ট বলছে, দূরবীক্ষণ কিংবা খালি চোখে—যেভাবেই চাঁদ দেখা হোক না কেন, তা নিকটস্থ কোর্টে জানাতে হবে এবং নিজের সাক্ষ্য নথিভুক্ত করতে হবে। ইসলামধর্মে চান্দ্রপঞ্জিমা অনুসরণ করা হয়।

আরবিতে ৩৫৪ কিংবা ৩৫৫ দিনে ১২ মাসে বছর গণনা হয়। চাঁদ দেখার সঙ্গে পবিত্র মাস রমজান শুরু হওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। এ মাসেই ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ রোজা পালন করা হয়। ঈদুল ফিতরের মধ্য দিয়ে রমজান মাস শেষ হয়।

ads

এদিকে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২৪ জুন থেকে ১৯ জুলাইর মধ্যে কেবল হজযাত্রীরাই ওমরাহ পালন করতে পারবেন। শুক্রবার (২৪ জুন) এক টুইট বার্তায় এ তথ্য দেয়া হয়েছে।

ইয়াতামারনা অ্যাপের মাধ্যমে ওমরাহর জন্য নিবন্ধন করা যাবে। অর্থাৎ আগামী ১৯ জুলাই পর্যন্ত ওমরাহ করতে ইচ্ছুক হজযাত্রীরা এ অ্যাপে গিয়ে আবেদন করতে পারবেন।

২০১৯ সালে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় জমায়েতে ২৫ লাখ মুসলমান অংশ নিয়েছিলেন। এরপর ২০২০ সালে করোনা মহামারি সংক্রমণ শুরু হলে কেবল ১ হাজার মুসল্লিকে হজে অংশ নেয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছিল। পরের বছর করোনার পরিপূর্ণ টিকা দেয়া ৬০ হাজার মুসল্লি ইবাদতটি পালন করার সুযোগ পান।

ওই বছর সৌদির বাইরে কাউকে হজ পালনের অনুমোদন না দেয়ায় মুসলমানরা অসন্তোষ প্রকাশ করেন। যদিও হজের আয়োজন করা সৌদি সরকারের জন্যও সম্মানের বিষয়। ইসলামের চতুর্থ স্তম্ভ হজ সামর্থ্যবান মুসলমানদের জন্য একটি ফরজ ইবাদত।

শারীরিক ও আর্থিকভাবে সক্ষম প্রতিটি মুসলমান নর-নারীকে জীবনে একবার হজ পালন করতে হবে। আরবি জিলহজ মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখ হজের জন্য নির্ধরিত সময়। হজ পালনের জন্য বর্তমান সৌদি আরবের মক্কা নগরী এবং সন্নিহিত মিনা, আরাফাত, মুযদালিফা প্রভৃতি স্থানে গমন এবং অবস্থান করতে হয়।

আল্লাহর কাছে মুসলমানদের আনুগত্য প্রদর্শনের নাম হজ। যারা হজে যাবেন, ইবাদতটি সঠিকভাবে পালনে তাদের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। কোরআন কারিমের সুরা হজ শুদ্ধ করে শিখবেন এবং সুরা হজের বাংলা অনুবাদ ও তাফসির পড়বেন। হজসংক্রান্ত হাদিস, ফিকহ ও বিভিন্ন বই-কিতাব পড়লে আরও ভালো হয়। হজের ফাজায়েল ও মাসআলা মাসায়েল ভালোভাবে জানলে সঠিকভাবে হজ পালন করা সহজ হবে।

ad

পাঠকের মতামত