জেসিসি বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও ভারত
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সপ্তম যৌথ পরামর্শক কমিশন (জেসিসি) বৈঠকে বসছে বাংলাদেশ ও ভারত। আগামী ৩০ মে ভারতের নয়াদিল্লিতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। এতে ঢাকার পক্ষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও নয়াদিল্লির পক্ষে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর নেতৃত্ব দেবেন।
করোনা মহামারি শুরুর পর সশরীরে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের এ বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সামগ্রিক দিক নিয়ে আলোচনা হবে…। তবে এখনো আলোচনার মূল এজেন্ডা ঠিক না হলেও ভূ-রাজনীতি, কানেক্টিভিটি, পানি, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নতুন নতুন অনেক ক্ষেত্র আলোচনার টেবিলে আসবে বলে আভাস মিলছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে।
জানা গেছে, ২০১২ সালে নয়াদিল্লিতে প্রথম জেসিসি বৈঠকে বসে বাংলাদেশ-ভারত। গত ১০ বছরে মোট ছয়বার জেসিসি হয়। সর্বশেষ, ২০২০ সালে করোনা মহামারির মধ্যে ঢাকায় নেতৃত্বে জেসিসি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়..। এরপর দুই দেশের করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় সপ্তম জেসিসি বৈঠক নিয়ে বার বার অনিশ্চয়তা দেখা যায়। প্রায় ১৮ মাস পরে সপ্তম বারের মতো বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলো।
জেসিসি বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে জানান, বৈঠকের বিষয়ে আমি এখনো জানি না। আমার সহকর্মীরা এটা নিয়ে কাজ করছেন। তারা বলতে পারবেন। এ মুহূর্তে না জেনে আমি বলতে পারব না…, কি নিয়ে আলোচনা হবে। তবে আমাদের দু’দেশের যে সম্পর্ক সেটার ওপর ভিত্তি করে আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করেছি। যে সমস্যাগুলো রয়ে গেছে সেগুলোও আমরা সমাধান করে ফেলব।’
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ দিয়ে গেছেন সেটার সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে আলোচনা হবে। তিস্তার পানির হিস্যা বুঝে পেতে অতীতের মতো বিষয়টি সামনে আনতে চাইবে ঢাকা।
এর বাইরে আলোচনাধীন কুশিয়ারা নদীর পানি উত্তোলন বিষয়টিতে সুরহার জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সইয়ের ব্যাপারে তাগাদা দেওয়া হতে পারে। তাছাড়া কুশিয়ারা নদীর পানি রহিমপুর খাল দিয়ে কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য ভারতের আপত্তির বিষয়টি নিষ্পত্তিতে জোর দেওয়া হবে। অন্যদিকে ছয়টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন ইস্যুতে আগ্রহ দেখাতে পারে নয়াদিল্লি।
এবারের জেসিসিতে তিস্তার বিষয়ে বাংলাদেশ কোনো সুখবর পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা- জানতে চাইলে ড. মোমেন বলেন, ‘আমরা তো চাই তিস্তাসহ সব সমস্যার সমাধান হোক। আমরা আশাবাদী।’