33201

মুরাদনগরে বিদ্যালয়ের সামনে গাড়ি পার্কিং, ভোগান্তিতে ২ হাজার শিক্ষার্থী

আরিফ গাজী: কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে প্রতিনিয়ত অবৈধ ভাবে গাড়ী পার্কিং করে রাখার ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে বিদ্যালয়টির প্রায় ২হাজারের অধিক শিক্ষার্থী। ছুটির সময় হুরোহুরি করে স্কুল
থেকে বের হতে গিয়ে গাড়ীর সাথে ধাক্কা লেগে ছাত্র-ছাত্রী আহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

এছাড়াও এই যানবাহনের ফাঁকফোকরে বখাটেরা লুকিয়ে থেকে ছাত্রীদের ইভটিজিংও করছে হরহামেসাই। এনিয়ে চরম উৎকন্ঠায় থাকেন অভিভাবকরা।

ads

জানা যায়, উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম উচ্চ বিদ্যালয়টিতে ২০২২ শিক্ষাবর্ষে ৬ষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত মোট ২হাজার ১শত ৩৪জন শিক্ষার্থী রয়েছে। স্কুলটিতে সবোর্চ্চ সংখ্যাক শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহন করলেও স্কুলটির মূল ফটক থেকে শুরু করে সম্মুখ ভাগের পুরো অংশে সারি সারি যানবাহন পার্কিং করে রাখা হয়। এর থেকে পরিত্রানের জন্য স্কুল কতৃপক্ষ বিভিন্ন দপ্তরে ধরনা দিয়েও
কোন প্রতিকার পায়নি। বাজার কমিটি বহুবার এই সমস্যাটি সমাধানের আশ্বাস দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এই বিদ্যালয়টি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয় হলেও যানবাহন পার্কিং এর কারনে দুর থেকে মনে হয় যেন এটি একটি টার্মিনাল। কখনো কখনো অতিরিক্ত গাড়ী রাখার ফলে স্কুলটিতে প্রবেশ এবং বাহির হওয়ার মত রাস্তা টুকুও থাকে না। স্কুলে যাওয়ার সময় ও ছুটি
হলে হুরোহুরি করে বেরুতে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বহুবার।

অভিভাবক নাজমুন্নাহার লুৎফা বলেন, স্কুলের সামনে এভাবে গাড়ী রাখার কারনে ছাত্রীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সবচে বেশি। বখাটেরা গাড়ীর ফাকে বসে থেকে মেয়েদের ইভটিজিং করে। এখন মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে চরম উৎকন্ঠায় থাকি। সহসাই এই সমস্যার সমাধান না হলে মেয়েদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিতে হবে।

ads

অভিভাবক জামাল হোসেন বলেন ছেলে মেয়েদের স্কুলে পাঠিয়ে আমরা আতংকে থাকি। স্কুলের সামনের এই গাড়ী পার্কিং বন্ধ করে ইভটিজিং রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ করছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজ উদ্দিন বলেন, এই গাড়ী পার্কিং এর সমস্যাটি দীর্ঘদিনের। এটা বন্ধ করার জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও এখনো কোন প্রতিকার পাইনি।

কোম্পানীগঞ্জ বাজার কমিটির আহŸায়ক চন্দন কুমার বণিক গাড়ী পার্কিং এর কারণে সৃষ্ট ইভটিজিং এর কথা স্বীকার করে বলেন আমরা অনেক চেষ্টা করেও গাড়ী পার্কিং বন্ধ করতে পারিনি। প্রশাসনের সহযোগিতা পেলে স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা নিতে পারবো।

মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, গাড়ী পার্কিংএর বিষয়টি আমাকে কেউ অবহিত করেনি। কিন্তু ইভটিজিং প্রতিরোধে বিদ্যালয়ের আশেপাশে প্রতিদিন পুলিশের টহল টিম দায়িত্ব পালন করছে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সফিউল আলম তালুকদার বলেন, ইউএনও মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে গাড়ী পার্কিং এর বিষয়টি প্রতিকারে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অভিষেক দাশ বলেন, এবিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি বা মৌখিক ভাবেও কেউ অবহিত করেনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ad

পাঠকের মতামত