16852

দাউদকান্দিতে ঘর উপহার পেল গৃহহীন ২০ পরিবার

দাউদকান্দি প্রতিনিধি: মুজিববর্ষ উপলক্ষে ৬৬ হাজার ১৮৯ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের ৪৯২টি উপজেলার অসহায়-বঞ্চিত মানুষদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘এটাই মুজিববর্ষের সব থেকে বড় উৎসব। সবার মানসম্মত জীবন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মা শান্তি পাবে।’

শনিবার (২৩ জানুয়ারি ২০২১) প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব পরিবারকে ঘর বুঝিয়ে দেন। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

ads

৪৯২টি উপজেলা থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, উপকার ভোগী এবং জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদরা এতে সংযুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী কর্মসূচির উদ্বোধনের পর নিজ নিজ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা পক্ষে গৃহহীনদের হাতে জমি ও বাড়ির দলিল তুলে দেন।

এরই অংশ হিসেবে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা সম্মেলন কক্ষে কুমিল্লা-১ (দাউদকান্দি ও মেঘনা) আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলী ভূঁইয়া উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে উপজেলার ২০ অসহায় পরিবারের মাঝে “মুজিব বর্ষ ভিলেজের” ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন।

ads

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম খান, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মোহাম্মদ সেলিম শেখ, দাউদকান্দি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নজরুল ইসলাম সহ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও অসহায় ২০ পরিবারের সদস্যরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যখন এই মানুষগুলো এই ঘরে থাকবে তখন আমার বাবা-মার আত্মা শান্তি পাবে। লাখো শহীদের আত্মা শান্তি পাবে। কারণ এসব দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই তো ছিল আমার বাবার লক্ষ্য।”

তিনি বলেন, “খুব আকাঙ্ক্ষা ছিল নিজে আপনাদের হাতে জমির দলিল তুলে দিই। কিন্তু করোনাভাইরাসের জন্য হল না।

“তারপরেও আমি মনে করি, দেশ ডিজিটাল হয়েছে বলেই এভাবে উপস্থিত হতে পেরেছি। আমরা প্রত্যেক শ্রেণির জন্য কাজ করছি। সব মানুষকেই জন্য ঠিকানা করে দেবো, এটাই আমার লক্ষ্য।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রশাসন যারা আছেন, তারা সরাসরি কাজগুলো করেছেন বলে এত দ্রুত হয়েছে। এত অল্প সময়ে এত ঘর করে দেয়া সম্ভব হয়েছে। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করেছেনবিশ্বে একসাথে এত মানুষকে ঘর দেয়া নজিরবিহীন।”

উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার পছন্দ করা নকশায় নির্মাণ করা হয়েছে এই প্রকল্পের বাড়ি। প্রতিটি ঘরে থাকছে দুটি শয়ন কক্ষ, একটি লম্বা বারান্দা, একটি রান্নাঘর ও একটি টয়লেট। এসব ঘরের জন্য নিশ্চিত করা হয়েছে বিদ্যুৎ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা। পরিবারগুলোর কর্মসংস্থানেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

তারা শুধু ঘর নয়, সঙ্গে পাচ্ছেন ভূমির মালিকানাও। প্রত্যেককে তার জমি ও ঘরের দলিল নিবন্ধন ও নামজারিও করে দেয়া হচ্ছে। দেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে এর আগে এত মানুষকে এক দিনে সরকারি ঘর হস্তান্তর করা হয়নি।

ad

পাঠকের মতামত