10384

ঐতিহ্যগতভাবেই অসহায় মানুষকে সহায়তা করছে আ.লীগ: ওবায়দুল কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী আওয়ামী লীগ ঐতিহ্যগতভাবেই দুর্যোগে অসহায় মানুষকে সহায়তা করে আসছে।

মঙ্গলবার সংসদ ভবনের তার সরকারি বাসভবনে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের আরও বলেছেন, দেশের প্রায় ১৫টি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য জেলায়ও বন্যা ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞদের এমন আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ত্রাণ মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যেই পানিবন্দি মানুষের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।

ads

তিনি বলেন, বন্যার পানিতে মানুষের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ফসল ও গবাদিপশুসহ অন্যান্য সম্পদ বিনষ্ট হচ্ছে। সরকার পানিবন্দি মানুষকে ইতিমধ্যেই আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়েছে। প্রায় এক হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দুর্গত এলাকার মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার সরবরাহ ও মানবিক সহায়তায় প্রশাসনকে সহযোগিতার জন্য আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠন নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার নমুনা পরীক্ষা ক্রমশঃ কমছে। আবার পরীক্ষিত নমুনা বিবেচনায় আক্রান্তের শতকরা হার বেশি, যা অংকের হিসেবে প্রায় চারভাগের একভাগ। নমুনা পরীক্ষা আরও বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ল্যাবগুলোর সক্ষমতা অনুযায়ী পরীক্ষা করতে প্রয়োজনীয় সামগ্রী প্রেরণে স্বাস্থ্যবিভাগের কার্যকর ও দ্রুত উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি। মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যবিভাগের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব আছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। সে অনুযায়ী করোনার চিকিৎসা, সংক্রমণ রোধ ও অন্যান্য রোগের চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে সুসমন্বয় প্রতিষ্ঠা জরুরি।

ads

নমুনা পরীক্ষায় ফি নির্ধারণের ফলে করোনার লক্ষণ দেখা দেওয়া সত্ত্বেও অনেক অসহায়, কর্মহীনও দরিদ্র মানুষ পরীক্ষা করাতে আসছেন না- এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। অসহায় মানুষগুলোর সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে এ বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, করোনা পরীক্ষার ভুয়া সনদ যেমন উদ্বেগ বাড়িয়েছে, অন্যদিকে বিদেশে দেশের ইমেজ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই এ ধরনের অপকর্ম নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভবিষ্যতে আর কোনো প্রতিষ্ঠান যেন এ ধরনের অপরাধ করতে না পারে- সেজন্য সংশ্লিষ্টদের নজরদারি বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, বিভিন্ন জেলায় কোরবানির পশুরহাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। ক্রেতা-বিক্রেতার অবাধ বিচরণ ও স্বাস্থ্যবিধির প্রতি অবহেলায় পরিস্থিতি ভয়াবহ করে তুলতে পারে। পশুরহাটের ইজারা গ্রহীতা, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগসহ সবার প্রতি পশুরহাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর কঠোরতা প্রদর্শনের অনুরোধ রইলো।

ad

পাঠকের মতামত