10264

ফিরে দেখা অতীত

চেতনায় একাত্তর নিউজ ডেস্ক: ৩০/৩৫ বছর পুর্বে ও আমাদের মা চাচীরা সকলেই পর্দানশীল ছিলো। বাপের বাড়ি কিংবা স্বামীর বাড়ি বেড়াতে গেলে প্রথমে বোরকা পরিধান করে রিক্সার মাঝে আরেকটি কাপড় দিয়ে বেরি বেধে নিতো। বোরকা পরিধান অবস্থায় হাতে একটি ছাতা নিয়ে বাকা করে একপাশ করে দ্রুত গতিতে রিক্সায় উঠে ফেলতো। আজ এ গুলো চোখে পড়ে না বললেই চলে। তখন রিক্সার প্রচলন ছিল অনেক বেশি৷ বিয়ে করতে গেলে জামাইর বাড়িতে বউকে রিক্সায় করে আনার সময় শাড়ি দিয়ে রিক্সা পেঁচিয়ে রাখা হতো৷ নুতুন বউ বেড়াতে গেলে শশুর গিয়ে বাড়িতে আনতো নিজের মেয়ে মনে করে।

জৈষ্ঠ্যমাস মাস আসলে চিড়ামুড়ি,খই দুধ দই, গুর, কলা খাওয়ার বিশেষ রেওয়াজ ছিলো। শশুর শাশুরি অবশ্যই বাধ্যতামুলক দাওয়াতে যেতে হতো। কারন পুত্র বধুকে তার মেয়ে হিসেবে সে নিয়ে আসবে বাড়িতে।

ads

আজকাল দেখা যায় বিয়ের দিন শশুর বেয়াই বাড়িতে গেলে ও আর সহসায় যেতে চায়না শশুর মসাই। এখন কার ছেলে মেয়েদের খই চিনা দুরূহ ব্যাপার। পুর্বে আমাদের মা চাচীকে দেখেছি বাবা ঘরে আসার পর ঘরে মহিদের কোন শব্দ নেই। নিরব নিস্তব্ধতা। আর এখন আপনাদের চোখের সামনে। প্রার্থক্য আপনারাই করুন।বাপের বাড়ি থেকে মেয়ে শশুর বাড়িতে গেলে কান্নার রুল পড়তো। বিয়ের যত বছর হউক না কেন। এখন আর কান্না নেই। হাসতে হাসতে বিদায়। অতীতের কতো স্মৃতি কতো কথা। আজ এ প্রজন্মের কাছে শুধু ইতিহাস।

ads
ad

পাঠকের মতামত