9873

বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি সময়েও ব্র্যাকের উপকার ভোগীদের সাথে কুমিল্লা দেবিদ্বার ব্র্যাক অফিস।

বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি সময়েও ব্র্যাকের উপকার ভোগীদের সাথে কুমিল্লা দেবিদ্বার ব্র্যাক অফিস।

নিউজ ডেস্কঃ
করোনা ভাইরাসের প্রাদুরভাব শুরু থেকেই বিশ্বের ১ নাম্বার NGO প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক নানা মুখি সহায়তা মুলক কার্যক্রম করায় প্রতিষ্ঠান এর কর্মীরা সকল মহলে প্রশংসিত হয়ে আসছে। করোনা মোকাবেলায় নানান কর্মসূচী নিয়ে কুমিল্লা -০৩ অঞ্চলের, দেবিদ্বার এলাকার জনগণের পাশে কাজ করছে উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের কর্মীবৃন্দ। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে- করোনা সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি, হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা, দোকানে দোকানে সামাজিক দূরত্ব চিহ্ন স্থাপন, জীবাণু নাশক স্প্রে করা, সদস্যাদের মাঝে সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান,

ads

গত ১০ মে থেকে সাধারন জনগোষ্ঠীর আর্থিক সুবিধা বিবেচনা ও গ্রামীন অর্থনৈতিক চাকাকে সচল রাখতে কৃষিখাত, মুদি ব্যবসায়ী ও ওষুধ বিক্রেতা সহ বিভিন্ন পেশার গ্রাহকের মাঝে ঋণ বিতরণসহ করোনাকালিন গ্রাহকদের মোবাইলে বিকাশ ওয়ালেটের মাধ্যমে সঞ্চয় ফেরত দেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে কুমিল্লা -৩ অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (দাবি) মো:হোসেন মনসুর মাহমুদ বলেন :- আমরা কাজ করি, আমাদের বিবেকের তারনা থেকে। ।করোনাকালিন এই সময় বদলে যাচ্ছে মানুষেরঃ- জীবন -যাপন, তার ব্যবহার, তার চিন্তা ও আকাংখা। আর এর প্রভাব পরছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে। এই গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে ব্র্যাকের সুবিধাভোগীদের গত ১০ মে-২০ থেকে স্বল্প পরিসরে লোন বিতরণ করে আসছে ব্র‍্যাক। তবে অবশ্যই সাস্থ্য বিধি মেনে আমাদের টিম এই কাজ গুলো করছে। এমন বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে ব্র্যাকের এই ইতিবাচক কর্মকান্ড গুলোতে নিযুক্ত হতে পেরে আমি নিজেকে ধন্য মনে করি।

ads

কুমিল্লা -৩ অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (প্রগতি) মোঃ মামুনুর রশীদ সতর্কতামূলক বিভিন্ন কর্মসূচীর কথা উল্লেখ করে বলেন আমরা করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই সরকারের সহযোগিতামূলক সকল কার্যক্রম অব্যাহত রাখছি। দেবিদার এলাকার এলাকা ব্যবস্থাপক মোঃ রুহুল আমিন বলেনঃ- স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ব্র্যাকেকে সরকারের সাথে কাজ করার আহবান জানানো হয় আর সেই আহবানে সারা দিয়ে ব্র্যাক কাজ করে যাচ্ছে। ব্র্যাক মাইক্রোফাইন্যান্স (দাবি ও প্রগতি), স্বাস্থ্য পুষ্টি ও জনসংখ্যা কর্মসূচী, সামাজিক ক্ষমতায়ন ও মাইগ্রেশন কর্মসূচী এবং ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসুচীর মাধ্যমে কর্মীরা জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করছে। মাইকে জারি শিল্পী কুদ্দুস বয়াতির গান প্রচার করা হয়েছে। দোকানে দোকানে সামাজিক দূরত্ব চিহ্ন স্থাপন করা হয়েছে। হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য সম্মত হাত ধোয়ার কৌশল শেখানো হয়েছে।

বিভাগীয় ব্যবস্থাপক জনাব রাজেশ কুমার সাহা এবং মারুফ হোসেনের নেতৃত্বে:- স্বাস্ত্য অধিদপ্তর,সরকার এবং স্তানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় রেখে কার্য্ক্রম চালিয়ে যাচ্ছি । তবে তারা জনগনকে আতংকিত না হয়ে সচেতন হওয়ার পরার্মশ দেন, স্বাস্ত্যবিধি এবং সরকারি সকল নিদের্শনা যথাযথ ভাবে পালন করার পরার্মশ দেন ।
শাখা ব্যবস্থাপক মো: কামাল হোসেন বলেন :- সরকারের পাশাপাশি সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রান্তিক এবং দরিদ্র জনগণের কথা বিবেচনা করে তাদের পাশে থেকে সমস্যা উত্তরণের চেষ্টা করছি।মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে কাজের অভাবে মানুষের আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাইক্রোফাইন্যন্সের সদস্যদের মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সঞ্চয় ফেরত দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে ঋণ বিতরন কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।
দেবিদ্বার এলাকার এলাকা ব্যবস্থাপক (প্রগতি)মো:বেদার হোসেন মল্লিক এবং উপজেলা হিসাব ব্যবস্থাপক মো:উসমান গনি বলেন :- দেবিদ্বার অফিসের সকল কর্মী নিজে থেকে ছুটি ভোগ না করে প্রতিনিয়ত সদস্যদের খোজ খবর নিচ্ছেন। ।

দেবিদ্বার এলাকার সদস্য রিনা বেগম বলেন:- লকডাউনের সময় কোন কাজ কর্ম না থাকায় পরিবারের ভরণপোষণে কষ্ট হচ্ছিলো। ঠিক তখনি ব্র্যাকের সহায়তায় আমার সঞ্চয় থেকে বিকাশের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা ফেরত পাই। এটা আমার কাছে খুবই অবাক লেগেছে এই দুর্যোগকালীন সময়ে অফিস বন্ধ থাকার পরেও মোবাইলে সঞ্চয় ফেরত পাইছি। টাকাটা পেয়ে আমার অনেক উপকার হয়েছে। দেবিদ্বারের চরবাকর গ্রামের শিরিনা আক্তার বলেন ব্র্যাকের কর্মী আপা আমাদের সব সময় ফোনে খোঁজ খবর নিতেন, আমার স্বামীর হোটেল ব্যবসার জন্য এসময়ে কোথাও টাকা না পেয়ে ব্র্যাকের আপার সাথে যোগাযোগ করলে আপা আমাকে – ৭৫০০০/ টাকার ঋণটা দুই দিনের মধ্যে দেন, এখন টাকা না পেলে ব্যবসা বন্ধের উপক্রম হয়েছিল, টাকা পেয়ে খুব উপকূত হয়েছি। আথির্ক সংকটে ব্র্যাকের এ ধরনের কাযর্ক্রম সত্যিই প্রশংসনীয়।

ad

পাঠকের মতামত