9256

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে করোনার প্রভাবে পোল্ট্রি শিল্পের সাথে সম্পৃক্তদের গুনতে হচ্ছে লোকসান

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে করোনার প্রভাবে পোল্ট্রি শিল্পের সাথে সম্পৃক্তদের গুনতে হচ্ছে লোকসান। বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি মুরগীর খামাড়। এবার ঈদেও আগের মত ব্যবসা না করতে পেরে ব্যাবসায়িদের মাথায় হাত। সরকারি সাহায্য সহযোগীতা পেলে আবারও ঘুরে দাড়াতে পারবে তারা, সরকারির প্রনোদনার দাবী তাদের।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলাটি অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধ একটি উপজেলা। প্রচুর প্রবাসী থাকায় এই এলাকাটিতে জমে উঠেছে সকল ব্যাবসা। তবে বর্তমানে প্রভাব পড়েছে করোনা মহামারির। অন্যান্য ব্যাবসায়িদের থেকে একটু বেশী ক্ষতিগ্রস্ত এই এলাকার পোল্ট্রি ব্যাবসায়িরা। সামাজিক অনুষ্ঠান ও মহাসড়কের পাশে থাকা বিভিন্ন খাবারের হোটেল বন্ধ থাকায় খামাড়িরা তাদের উৎপাদিত মুরগী ও ডিম বিক্রি করতে পারছে না। এছাড়া পরিবহন বন্ধ থাকায় আসতে পারছেনা অন্যান্য এলাকার ব্যাবসায়িরা। এসকল সমস্যার কারনে বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কয়েকটি মুরগীর খামাড়। এরফলে পোল্ট্রি ও ফিড ব্যাবসায়ীদের গুনতে হচ্ছে লোকসান।
করোনা পরিস্থিতির প্রথম থেকেই ভেকসিনের অভাবে খামাড়গুলোতে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রচুর পরিমান মুরগী মারা যায়। এখন পর্যন্ত এসব ভেকসিনের আমদানী সচল হয়নি। লকডাউনের কারনে চলচল স্বাভাবিক না হওয়ায় পন্য পরিবহনে বাড়তি টাকা ব্যায় হচ্ছে ব্যাবসায়ীদের। এবছর ঈদে ও আশানুরুপ ব্যাবসা করতে পারেনি খুচরা ব্যাবসায়িরা। আগের তুলনায় চার ভাগের একভাগ মুনাফাও হয়নি তাদের। সরকারের সহায়তা কামনা করছে পোল্ট্রি শিল্পের সাথে সম্পৃক্ত সকলে।
চৌদ্দগ্রামের মুন্সিরহাট বাজারের মেসার্স খলিল পোল্ট্রি এন্ড ফিডস এর স্বত্ত্বাধিকারী পোল্ট্রি ব্যাবসায়ি সমিতির নেতা খলিলুর রহমান জানায়, লকডাউনের ফলে এই এলাকার পোল্ট্রি ব্যাবসা বন্ধ হওয়ার পথে। আমার খামাড়েই লোকসান হয়েছে প্রায় ৩০লক্ষ টাকা। সরকার পোল্ট্রি শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের পাশে দাড়ানোর দাবী জানাচ্ছি।
দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণে পোল্ট্রি শিল্পের ভ’মিকা অপরিসিম। এই শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে সুদৃষ্টি দিবে সরকার, আবারও ঘুরে দাড়াবে এই শিল্পটি এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।

ads
ad

পাঠকের মতামত