চৌদ্দগ্রামে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান, ৮ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
চৌদ্দগ্রাম প্রতিনিধি: জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয়ের সার্বিক নির্দেশনায় এবং পরিচালক (প্রশাসন) মহোদয়ের তত্ত্বাবধানে কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো: আছাদুল ইসলামের পরিচালনায় রমজানের ৯ম দিনে নিত্যপণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পদুয়ার রাস্তার মাথা ও গুণবতী বাজারে তদারকিমূলক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় মূল্য তালিকা না রাখা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ মসলা বিক্রির অভিযোগে মেসার্স সলিমউল্যাহ স্টোরকে ৮,০০০ টাকা, বেগুনের ক্রয়মূল্য বেশি দেখিয়ে মিথ্যা ঘোষণা দ্বারা ভোক্তা সাধারণকে প্রতারিত করায় ইমরানের সবজির দোকানকে ১,০০০ টাকা, একই অভিযোগে পণ্য বিক্রি করায় আমিন স্টোরকে ৫,০০০ টাকা, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করায় ইউনুছ স্টোরকে ১০,০০০ টাকা, মূল্য তালিকা না থাকায় মাহিন মাংসের দোকানকে ১,০০০ টাকা, একই অভিযোগে সাহাব উদ্দিনের মাংসের দোকানকে ১,০০০ টাকা, মিথ্যা ঘোষণা দ্বারা প্রতারিত করায় মাস্টাস সপকে ৩,০০০ টাকা ও একই অভিযোগে সায়েদ স্টোরকে ৪,০০০ টাকাসহ আজ মোট ৮ প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় অধিদপ্তরের প্রশাসনিক এখতিয়ারে ৩৩,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
আজকের অভিযানে এ দুই বাজারে মাইকের মাধ্যমে দৃশ্যমান স্থানে পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন, কারসাজি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধি না করতে, পাইকারি ক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের অনুরোধ করা হয়। প্রতিটি নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের যথেষ্ট মজুদ ও সরবরাহ আছে বলেও মাইকের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়। ফলে আতঙ্কিত হয়ে ভোক্তা সাধারণকে অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় না করতে ও ব্যবসায়ীদেরকে কারসাজি করে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি না করতে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সতর্ক করা হয়। উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর হাবিবুর রহমান, সংশ্লিষ্ট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং জেলা পুলিশ ও চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের দুটি টিম এ কাজে সার্বিক সহযোগিতা করেন। কুমিল্লার বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রশাসন এ অভিযান পরিচালনায় প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে সহযোগিতা করেন। জনস্বার্থে এ তদারকি অভিযান অব্যাহত থাকবে।