ত্রাণ বিতরণে বাধা, বিএনপির কাছে প্রমাণ চাইলেন ওবায়দুল কাদের

নিউজ ডেস্ক: বিএনপিকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে যে অভিযোগ দলটিকে তার প্রমাণ দিলে বললেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘বিএনপিকে ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করছে। আমি বলতে চাই, কে বাধা দিয়েছে? কোথায় বাধা দিয়েছে? তথ্য-প্রমাণ দিন। এ অমানবিক কাজ যারা করছে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। এটা নিঃসন্দেহে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।’

সোমবার (২১ এপ্রিল) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমি আবারও বলতে চাই, বিএনপিকে সরকারের নিশ্চিহ্ন করার কোনও প্রয়োজন নেই। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সরকার নয়, তারা নিজেরাই নিজেদের ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট। তাদের নেতিবাচক রাজনীতি তাদের ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট।’

‘শেখ হাসিনা সরকার কঠোর অবস্থানে, চাল চোরদের ক্ষমা নেই’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূল পর্যায়ে ত্রাণ কার্যক্রম সমন্বয়ের নির্দেশ দিয়েছেন। দলীয় প্রধানের নির্দেশনা অনুযায়ী তৃণমূল পর্যায়ে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডভিত্তিক কমিটি হবে। ত্রাণ সুবিধা পাওয়ার উপযুক্ত তালিকা প্রণয়ন করে, প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমি নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তালিকা প্রণয়নে কোনও প্রকার বৈষম্য করা চলবে না। দলমত নির্বিশেষে যার যা প্রাপ্য ঠিক সেই অনুযায়ী তালিকা করতে হবে। দ্রুত তালিকা করে প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করতে আমি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাসজনিত সঙ্কট মোকাবিলা সংক্রমণ রোধ এবং নিয়ন্ত্রণে প্রতিটি মুহূর্ত নিরলসভাবে মনিটর করছেন। নির্দেশনা দিচ্ছেন। আমাদের সক্ষমতা পর্যায়ক্রমে বাড়ছে। করোনা টেস্টের জন্য নির্ধারিত কেন্দ্র সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। টেস্টিং ক্যাপাসিটি প্রতিদিনই বাড়ছে। যদিও আজকে সারা বিশ্বে টেস্টি ক্যাপাসিটি, পিপিইর সংকট রয়েছে। তারপরও বাংলাদেশ সীমাবদ্ধতার মধ্যেও প্রতিদিনই টেস্টিং ক্যাপাসিটি বাড়াচ্ছে।’

কাদের বলেন, ‘আমাদের ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা, চিকিৎসকরা, স্বাস্থ্যকর্মীরা নিরলসভাবে দিবারাত্রি কাজ করে যাচ্ছেন। প্রশাসন সেনাবাহিনী, পুলিশ-র‍্যাব সর্বক্ষণ শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছেন।’