কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে স্কুল ছাত্রী অপহরণের দায়ে আটক ১
নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে স্কুল ছাত্রী মহিমা আক্তারকে অপহরণের দায়ে মামুন নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত মামুন উপজেলার ছোট তুঘুরিয়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কুমিল্লার আদালতে প্রেরণ করা হয়।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় লাকসাম গণউদ্যোগ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী মহিমা আক্তার। নিখোঁজ ছাত্রীর সন্ধান না পেয়ে তার পিতা আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে একই গ্রামের সেলিম, তার ছেলে সোহেল, আত্মীয় মামুন সহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত মামুনকে গ্রেপ্তার করে নাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক ওবায়দুল হক। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে মহিমার অপহরণে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে কুমিল্লার আদালতে প্রেরণ করা হয়।
অপহৃত কিশোরীর পিতা আব্দুল মান্নান বলেন, ‘বিভিন্ন সময় স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ছোট তুঘুরিয়া গ্রামের সেলিমের ছেলে সোহেল আমার মেয়ে মহিমা আক্তারকে উত্তক্ত করতো। বিষয়টি জেনে আমি সোহেলকে সতর্ক করতে গেলে সে আমার মেয়েকে অপহরণ করে বিয়ে করার হুমকি দেয়। হুমকির বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে তারা তাকে শাসন করার পরিবর্তে তাদের ছেলের সাথে আমার মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব দেয়। মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বিধায় আমি তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি। গত ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সোহেল তার সহযোগীদের সহায়তায় আমার মেয়ে মহিমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমার ছোট মেয়ে মিতু আক্তার অপহরণকারীদের দেখে চিনে ফেলায় তারা দ্রুত সিএনজি যোগে মহিমাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি বিষয়টি সোহেলের পরিবারকে জানালে তারা দ্রুত আমার মেয়েকে ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেয়। অপহরণের দশ দিন অতিক্রমের পরও তাকে ফিরিয়ে না দেয়ায় ২৮ জানুয়ারি আমি নাঙ্গলকোট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করি।’
এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মামুন মহিমার অপহরণে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার এবং অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’