সাংবাদিকরাই হচ্ছে জাতির বিবেক ও দেশের অহঙ্কার: আরফানুল হক রিফাত
মাইনুল হক: বুধবার বিকেলে কুমিল্লা মহানগরীর মনোহরপুরে একটি পার্টি সেন্টারে কুমিল্লায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতকালীন সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি আরফানুল হক রিফাত।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি আরফানুল হক রিফাত বলেছেন-সমৃদ্ধ ও উন্নত কুমিল্লা গঠনে কুমিল্লায় কর্মরত সাংবাদিকদের অবদান অপরিসীম। শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের নগরী, বর্তমান কুমিল্লা মহানগরীকে আরো আধুনিকায়নে এবং কুমিল্লা সর্বস্তরের মানুষের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন কুমিল্লা-০৬ সদর আসেনর মাননীয় সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাকালীর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আ.ক.ম বাহাউদ্দিন বাহার।
আরফানুল হক রিফাত উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথে কুমিল্লার বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ এবং চলমান সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় কালে আরো বলেন, একজন সাংবাদিকের মূল কর্তব্য দিনের সংবাদ ও মতামত সংগ্রহ এবং তা প্রচার করার চেয়ে কিছু বেশি, কারণ তিনি যা যা বলবেন, করবেন ও লিখবেন এর মধ্যে তাকে সত্যের অনুসন্ধানও করতে হবে। একটি ঘটনা বিভিন্ন পত্রিকায় বিভিন্ন ভাবে প্রকাশিত হয়, সাধারণ পাঠকরা বুঝতে পারেনা কোনটি সত্য কিংবা কোনটি মিথ্যা । কিছু কিছু সংবাদপত্র আছে যারা তিলকে তাল দিনকে রাত, সত্যকে মিথ্যা, মিথ্যাকে সত্য অর্থাৎ রাজনৈতিক দলের পক্ষ অবলম্বন করে নিজের মনের রং মিশিয়ে এমনভাবে সংবাদ উপস্থাপন করে যা পড়ে আমরা বিভ্রান্ত হই। আমরা বুঝতে পারিনা কোনটি সত্য ও কোনটি মিথ্যা। আমি কুমিল্লাকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে সংবাদপত্র ও সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ সাংবাদিকরাই হচ্ছে জাতির বিবেক ও দেশের অহঙ্কার। এমপি বাহারের পাশাপাশি এই কুমিল্লাকে সমৃদ্ধশালী ও গতিশীল করার পেছনে কুমিল্লায় কর্মরত সংবাদ কর্মীদেরও অবদান চোখে পড়ার মত বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, প্রিয় সাংবাদিক বন্ধুগণ, আপনারা সকলেই জানেন, বিগত দিনে তথা প্রায় ২০-২২ বছর যাবত কুমিল্লা নগরীতে অবস্থিত মডার্ণ হাইস্কুলটি একটি পরিবারের হাতে জিম্মি ছিল। কুমিল্লার অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিগত সময়ে কোটি কোটি টাকা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে তারা আত্মসাৎ করেছে। পরবর্তীতে এই প্রতিষ্ঠানের আন্দোলনরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবীতে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াতে বাধ্য হই। যার ফলে মাত্র ৭ লক্ষ টাকা ফান্ড রেখে তারা চলে গেলে আমরা দায়িত্ব নিয়ে বিগত দুই বছরে এ প্রতিষ্ঠানের ফান্ড দাঁড়ায় প্রায় ৭ কোটি টাকা। শিক্ষকদের বেতন প্রায় তিন গুণের বেশী বৃদ্ধি পায়। শিক্ষার্থীদের বেতন কমানো হয়, পরীক্ষা ফি এবং ভর্তি ফি কমানো হয়। এভাবে ঠিক যে মুহুর্তে প্রতিষ্ঠানটি উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছিল, ঠিক তেমনি সময়ে আবারো তারা এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের পায়তারা করার অপচেষ্টায় লিপ্ত।
আপনাদের লেখনির মাধ্যমে বিভিন্ন গণমাধ্যম, পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশনে তুলে ধরে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠায় সার্বিক সহযোগিতা করবেন। সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার অন্তত শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।