1300

কুমিল্লায় ধর্ষকের বাড়িতে র‌্যাবের আয়োজনে বিয়ের প্রস্ততি! অবশেষে

সোমবার রাত ১২ টায় বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়ন এলাকার পয়াত গ্রামে, র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে টিনের বেড়া ভেঙ্গে পালিয়ে যায় ধর্ষক সোহেল রানা(২৫)। র‌্যাব সিপিসি ২ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার প্রণব কুমারের উপস্থিত বুদ্ধিমত্তায় আটক করা হয় মামলার অপর আসামী ধর্ষকের পিতা তাজুল ইসলাম কে। আসামীকে ধরতে কৌশলের আশ্রয় নেন তিনি।

সোহেলের পরিবারও ছেলে ও মেয়ের বিয়ে করানোর জন্য বলতে থাকে। ধর্ষকের পরিবারকে বলা হয় ঠিক আছে, বিয়ে হলে ঝামেলা শেষ। চলতে থাকে অভিনয় র‌্যাব কর্মকর্তাদের। ডাকতে বলা হয় কাজী ও হুজুরকে। মিষ্টি আনানো হয় বাজার থেকে, চলে চা ও মিষ্টি মুখ। কনে সাজানোর আয়োজন চলতে থাকে। এভাবে দীর্ঘ ৪ঘন্টা পর, পরিবার আশ্বস্ত হলে ভারত সীমান্তের ছয়গ্রাম থেকে বিয়ে করানোর জন্য গাড়ি পাঠিয়ে আনা হয় জামাইকে।

ads

ধর্ষক সোহেল রানা বাড়িতে আসার পরই পাল্টে যায় পরিবেশ। কঠোর অবস্থানে যায় র‌্যাব সদস্যরা। বিয়ে অফিসে নিয়ে পড়ানো হবে বলে ধর্ষক সোহেল কে গাড়িতে তুলেই রওয়ানা হন র‌্যাব কার্যালয়ের দিকে।

ads

অবশেষে কুমিল্লায় র‌্যাবের সফল অভিযানে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামী মোঃ সোহেল (২২)কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে বুড়িচং উপজেলার পয়াত গ্রামের তাজুল ইসলামের পুত্র।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব ১১ সিপিসি-২ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার প্রণব কুমার জানান, সোহেল কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানার স্থায়ী বাসিন্দা। সে দীর্ঘদিন ধরে কিশোরী মেয়েদেরকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করে মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখত, যা দিয়ে পরবর্তীতে বিভিন্ন সময়ে উক্ত ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করত।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং-২, কুমিল্লা এর আদালতের কোর্ট পিটিশন মামলা ও কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত