548

বাসার পাশে পুকুর থেকেও কুমিল্লার মাতৃ ভান্ডারের মালিকের বাস ভবনের সামান্য আগুন যেকারনে ভয়াবহ রূপ !

কুমিল্লা মহানগরীর সোনালী ব্যাংকের বিপরীত পাশে সোনালী জামে মসজিদ গলির বিশ্বখ্যাত কুমিল্লার মাতৃ ভান্ডারের মালিকের দুই তলা বাস ভবনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার রাত ৯ টা ১৫ মিনিটে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক ভাবে জানা যায় কয়েল কিংবা সিগেরেটের আগুন থেকে এ অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।

দোকানের কারিগর তপন কুমার চন্দ্র চেতনায়৭১নিউজকে জানান, অগ্নিকান্ডে ২ তালার সব রুমের মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুন লাগার পর কিছুটা আতঙ্ক ছড়িয়েছিল৷ বাসার অধিকাংশ লোক বেড়াতে গিয়েছে। বাসার মালিকের মেয়ে ও মেয়ের জামাই, দোকনের কয়েকজন কর্মচারী ও কাজের মেয়েরা ছিল। ঘটনা শুনার পর তাৎক্ষনিক আমরা দোকানের সকল কর্মচারীরা বাসা পার্শবর্তী হওয়ায় দ্রুত বাসায় চলে আসি। সোনালী টাওয়ারের শ্রমিকরা পানির পাইপ দিয়ে পানি দেওয়ায় এবং এলাকাবাসীর সহযোগীতার কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি।

ads

এলাকার স্থানীয় বিজয় সাহা, আশিকুর রহমান, রিপন আহাম্মেদ ও ব্যবসায়ীরা জানান, কুমিল্লাকে এক সময় ব্যাংক ও ট্যাংকের অথবা পুকুরের নগর বলা হত। এ শহরে ব্যাংক গুলো থাকলে ও পুকুর গুলো ভরাট হয়ে গেছে। অতীতে কোন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটলে জনগন পুকুরের পানি দিয়েই আগ্নিকান্ডের নিয়ন্ত্রন করত । তখন এত ফায়ার সার্ভিসও ছিল না। গত ছয় মাস আগেও সেনালী ব্যাংকের পাশে একটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল। পাশেই সোনালী ব্যাংক এলাকার একমাত্র পুকর থাকা সত্তেও আমরা পুকুরের পানি কাজে লাগাতে পারি নাই। সিটি কর্পোরেশন পুকুরের তিন দিকেই ছয় ফুট বাউন্ডারি করে রেখেছে। আজকেও আমরা পুকুরের পানি কাজে লাগাতে পারি নাই। যদি আমরা এলাকার সব মানুষ বালতি দিয়েও পানি নিতে পারতাম তাহলে আগুন নিয়ন্ত্রনে চলে আসত, ফায়ার সার্ভিসের প্রয়োজন হত না। সবাই সিটি কর্পোরেশনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, যাতে অতি দ্রুত ওয়াল ভেঙ্গে পুকুরে একটি ঘাটলা করে দেওয়া হয়। অন্যথায় এরকম ঘটনা আরো ঘটবে এবং ভবিষ্যতে আরো রড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা কি কারনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তা জানাতে পারেননি। তারা বলেছেন তদন্তের পর বলা যাবে কিভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে এবং কি পরিমান ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। তবে পুকুরের ছয় ফুট বাউন্ডারি ওযাল থাকার কারনে আমাদের পানির লাইন দিতে অনেক সমস্যা ও দেরী হয়েছে। শহরের প্রাণ কেন্দ্রে যেহেতু এ পুকুরটা বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে দিলে সবার জন্য ভাল হয়।

ads
ad

পাঠকের মতামত