জঙ্গী হুমকি থেকে রক্ষা পেতে নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ শুরু করা হয়েছে
ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, জঙ্গী হুমকি থেকে রক্ষা পেতে নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ শুরু করা হয়েছে। তবে নাগরিক তথ্য দিতে অনেকের মধ্যে গড়িমসি রয়েছে। শনিবার বেলা ১১টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে ‘নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ ২০১৯’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ১৫ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী নাগরিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে। ডিএমপির ৫০ থানার ৩০২ বিট থেকে একযোগে সংগৃহীত হবে নাগরিক তথ্য সংগ্রহ ও হালনাগাদ কার্যক্রম করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার জানান, ঢাকায় বসবাসরত নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ শুরুর পর ৬২ লাখ ৩৪ হাজার ৫৪৭ জনের তথ্য সংগ্রহ করে সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে (সিআইএমএস) সংরক্ষণ করেছে ডিএমপি। এদের মধ্যে দুই লাখ ৪১ হাজার ৫০৭ বাড়িওয়ালা, ১৮ লাখ ২০ হাজার ৯৪ ভাড়াটিয়া, পরিবারের সদস্য ৩১ লাখ ৬৬ হাজার ৮২১ জন, মেস সদস্য এক লাখ ২১ হাজার ৪০ জন, চালক ও গৃহকর্মী ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৯৮৪ জন রয়েছেন। এক সপ্তাহে রাজধানীর ৫০ থানাকে ৩০২ বিটে ভাগ করে নাগরিকদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করবে। এরপর ২১ জুন থেকে ডিএমপি সদর দফতর থেকে ৮ টিম ৮ বিভাগে ভাগ হয়ে দৈবচয়ন পদ্ধতিতে ক্রস চেক করবে। কোথাও কোন ত্রুটি পেলে তারা সংশ্লিষ্ট বিট পুলিশকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসবে। গুলশানে হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলার পর ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করে সিআইএমএস সফটওয়্যারে সংরক্ষণ শুরু করে ডিএমপি। আছাদুজ্জামান মিয়া জানান, সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (সিআইএমএস) মাধ্যমে ভাড়াটেদের তথ্য সংগ্রহ করার কারণে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ ও নাগরিকদের মধ্যে কিছুটা ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে।
ঢিলেঢালা ভাবের কারণে অপরাধীরা আবার চেষ্টা করছে নগরীতে আস্তানা গাড়তে। এ জন্য এটা আবার শুরু করা হয়েছে। তাই আপনার তথ্য থানায় জমা দিন, পুলিশকে সহায়তা করুন, নিজে নিরাপদ থাকুন, অন্যকে নিরাপদে রাখুন। সন্ত্রাস, উগ্রবাদ ও অপরাধের হুমকি থেকে এই মহানগরীর মানুষকে সুরক্ষিত রাখুন। নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহের গুরুত্ব সম্পর্কে কমিশনার বলেন, বর্তমানে আমরা লক্ষ করছি, অনেকে নাগরিক তথ্য দিতে গড়িমসি করছে। নাগরিক তথ্য সংগ্রহ শতভাগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা আবারও নাগরিক তথ্য সংগ্রহ সপ্তাহ শুরু করছি।