পাটকল শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক বললেন অব্যবস্থাপনার কারণে পাটকলগুলোর এই শোচনীয় অবস্থা
স্টাফ রিপোর্ট : খুলনা অঞ্চলের রাষ্ট্রায়াত্ব পাট কল শ্রমিকরা গত দুই সপ্তাহ ও বেশি সময় ধরে যে ধর্মঘট পালন করে আসছিলো, মঙ্গলবার প্রশাসন থেকে কিছু দাবি মানার আশ্বাসে ধর্মঘট সাময়িক স্থগিত করে। খুলনা জেলা প্রশাসকের উপস্থিতিতে পাটকল পাটকল কর্মকর্তা, শ্রমিক নেতা সঙ্গে মঙ্গলবার যে আপোষ বৈঠক হয়, তার পর শ্রমিক নেতারা এক সপ্তাহ তাদের ধর্মঘট স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন।
কী ছিলো সে আশ্বাসে বুধবার বিবিসি’র সঙ্গে সাক্ষাৎকারে খুলনা অঞ্চলের পাটকল শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মুরাদ হোসেন বলেন, আমাদের প্রাণের দাবি মজুরি কমিশন । যে মজুরি কমিশন ২০১৫ সালে কার্যকর হওয়ার কথা। সরকারের সিন্ধান্ত হওয়ার পরও ৪৭ মাস হতে চললো তা কার্যকর হচ্ছে না।
তিনি বলেন, ৯ দফার ভেতর মজুরি কমিশন সরকার আশ্বাস দিয়েছে মানা হবে। আর বকেয়া বেতন পরিশোধ করবেন, সরকার আশ্বাস দিয়েছেন। ৯ দফার মধ্যে ২টি দাবি মেনে নিয়েছে আর বাকি যে দাবি আছে তা ১ সপ্তাহের মধ্যে মানবে বলে সরকার আশ্বাস দিয়েছে। তাই ১ সপ্তাহের জন্য আন্দোলন স্থগিত করেছি। যদি ২৮ তারিখের মধ্যে দাবি মানা না হলে ২৯ তারিখে থেকে আবার আন্দোলন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের আগে ন্যুনতম বেতন ছিলো ৪১৫০ টাকা, মজুরি কমিশন কার্যকর হলে হবে ৮৩০০ টাকা। মজুরি দীগুন হবে, তবে আর সব সুবিধা দীগুন হবে না। তাতে দেখা যাবে আমাদের ৮০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি পাবে। আমরা এখনো ২০০৯ সালের মজুরি কমিশনের আওতায় বেতন পাচ্ছি। কারখানা কতৃপক্ষের এবং মন্ত্রণালয়ের অব্যবস্থাপনার কারণে শ্রমিকের আজ রাস্তায় নামতে হচ্ছে। পাটের সিজনে সাড়ে ৬ শত টাকার পাট কেনা হয় ২২-২৩ শত টাকায়। বছরে ২শত কোটি টাকা ক্ষতি হয়। দেশের পাট ব্যবসায়িদের ১ শতাংশ সুদে ঋণ দেয় হয়। আর জুটমিলের ঋন দেয়া হয় তার সুদ হলো ১৭ শতাংশ সুদে।