41190

‘ইইউর রুশ-বিরোধী নিষেধাজ্ঞা শুধু মার্কিন স্বার্থ রক্ষা করবে’

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবার সবচেয়ে শক্তিশালী ও বড় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো ইউরোপিয় ইউনিয়ন। এক টুইটবার্তায় ইইউ সভাপতি নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে সংস্থাটির এসব কর্মকাণ্ডকে পাগলামি বলছেন ইউরোপীয় পার্লামেন্টের আইরিশ প্রতিনিধি মিক ওয়ালেস। খবর আজজাজিরার।

ইইউর সভাপতি টুইটবার্তায় বলেন, ইউক্রেনকে চলমান যুদ্ধে জয়ী করার জন্য ইইউর সবগুলো সদস্যদেশ একসঙ্গে মিলে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ও ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।

ads

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন ও ইউক্রেনের জনগণের পাশে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ। যতদিন প্রয়োজন আমরা ইউক্রেনকে সমর্থন দিয়ে যাব।

ইইউর এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য পণ্য রাশিয়ায় রপ্তানি না করা এবং যেসব দেশ বা প্রতিষ্ঠান ইউক্রেন যুদ্ধে কোনো না কোনোভাবে সাহায্য করছে সেসব প্রতিষ্ঠানের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ। ইউক্রেন যুদ্ধে সহায়তা বলতে ওই যুদ্ধের রাশিয়ার পক্ষে প্রচারণা চালানো এবং রাশিয়াকে যুদ্ধে ব্যবহার করার জন্য ড্রোন সরবরাহ বোঝানো হয়েছে।

ads

মার্কিন সরকারের পক্ষ থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কয়েক ঘণ্টার মাথায় ইইউর পক্ষ থেকে রুশবিরোধী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। তবে এ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছে খোদ ইউরোপের রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকরা।

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের একজন আইরিশ আইনপ্রণেতা মিক ওয়ালেস বলেন, এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য অত্যন্ত হতাশাজক বছর। আমরা মার্কিন স্বার্থ রক্ষার জন্য অধিকতর উপায়ে একটি আজ্ঞাবহ ভূমিকা পালন করছি। আরও মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমরা যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছি যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বার্থ রক্ষা করছে না তেমনি তা ইউরোপের জনগণের স্বার্থেরও অনুকূলে নয়।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় ইউরোপের সাধারণ নাগরিকদের ওপর ব্যয়ের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দেবে। এরইমধ্যে ইউরোপে ব্যাপক মাত্রায় মুদ্রাস্ফীতি হয়েছে এবং জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে গেছে। ইউরোপীয় পার্লামেন্টের এই আইরিশ সদস্য বলেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়ার নাগরিকদের যতটা না ক্ষতি হয়েছে তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউরোপের জনগণ।

ad

পাঠকের মতামত