বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় দ্বিতীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনী

ডেস্ক নিউজ: মুজিববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর চার দিনব্যাপী দ্বিতীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। সিউলে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে এবং ইয়াংওয়ান করপোরেশনের সহযোগিতায় করপোরেশনের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে এই আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) শুরু হওয়া প্রদর্শনীটি আগামী ৬ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।

দূতাবাস জানায়, দূতাবাস ও ইয়াংওয়ান করপোরেশনের কর্মকর্তা, আমন্ত্রিত অতিথি ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম এবং ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাং কি-হাক ফিতা কেটে যৌথভাবে প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন।

প্রদর্শনীটি ৬ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রাষ্ট্রদূত বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং অবদানের প্রতি আলোকপাত করে বলেন, প্রদর্শনীর আলোকচিত্রগুলোতেও তার সেই সুবিশাল কর্মযজ্ঞ প্রতিফলিত হয়েছে।

সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মেডিকেল কলেজ, সুংকুনকোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়, হানসাং বিশ্ববিদ্যালয়, কোরিয়া ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব আর্টস এবং সিউল উইমেন ইউনিভার্সিটি এলাকায় এই আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। রাষ্ট্রদূত এই আয়োজন নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রদর্শনীটি দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধুপ্রতিম জনগণকে তথা তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর এবং তার রূপকল্প, দর্শন ও মতাদর্শ সম্পর্কে জানতে অনুপ্রাণিত করবে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যানের অবদানের কথা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম। তিনি এ প্রদর্শনী আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতার করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাং কি-হাককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ইয়াংওয়ান করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাং কি-হাক বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যৌথভাবে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনী আয়োজন করতে পেরে গভীর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি প্রশংসনীয় এই উদ্যোগে ইয়াংওয়ান করপোরেশনকে সম্পৃক্ত করায় সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসকে ধন্যবাদ জানান। তিনি তার বক্তব্যে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের বিস্ময়কর আর্থসামাজিক অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরেন।

পরে রাষ্ট্রদূত আবিদা সাং কি-হাককে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র কোরিয়ান সংস্করণ উপহার দেন।

অনুষ্ঠানে দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক, সুশীল সমাজের সদস্য ও দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে আসা অতিথিদের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র কোরিয়ান সংস্করণ উপহার দেওয়া হয়।

প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’, ‘বঙ্গবন্ধু দ্য পিপল’স হিরো’-এর কোরিয়ান সংস্করণসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর অন্যান্য প্রকাশনা প্রদর্শন, বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত ডকুমেন্টারি এবং ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সম্প্রচার করা হয়, যা প্রদর্শনীর শেষ দিন পর্যন্ত চলমান থাকবে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রথম আলোকচিত্র প্রদর্শনীটি গত ৯-১৩ জুলাই সিউল শহরের প্রাণকেন্দ্র গাংনামের থিও গ্যালারিতে কোরিয়ান কালচার অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়।