পাকিস্তানে আটকে থাকা পাঁচ শতাধিক শরণার্থীদের জার্মানি নেওয়ার ঘোষণা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জার্মান সরকার পাকিস্তানে আটকে থাকা ৫৩৫ জন আফগান নাগরিককে জার্মানিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) এই ঘোষণা দেন জার্মান কর্তৃপক্ষ। মূলত এসব আফগানকে আগে থেকেই জার্মানিতে আশ্রয়ের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।
জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেক্সান্ডার ডোব্রিন্ট জানান, সরকার চায় ডিসেম্বরের মধ্যেই তাদের আবেদন প্রক্রিয়া শেষ করে জার্মানিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হোক। এই আফগানরা মূলত আগের জার্মান সরকারের চালু করা একটি শরণার্থী কর্মসূচির আওতায় নির্বাচিত হয়েছিল।
তবে মে মাসে নতুন রক্ষণশীল চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্ৎস ক্ষমতায় আসার পর কর্মসূচিটি স্থগিত হলে আফগানরা পাকিস্তানেই আটকে পড়েন। তালিকায় রয়েছেন—তালেবানের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় জার্মান সেনাদের সঙ্গে কাজ করা ব্যক্তি, মানবাধিকারকর্মী, সাংবাদিক এবং তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর যাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে।
পাকিস্তান সরকার চলতি বছরের শেষ নাগাদ তাদের বিষয়টি নিষ্পত্তির সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। সময়সীমার মধ্যে সিদ্ধান্ত না হলে আফগানদের আফগানিস্তানে ফেরত পাঠানো হতে পারে। ডোব্রিন্ট জানিয়েছেন, পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে এবং কিছু আবেদন নতুন বছরে গড়াতে পারে।
এদিকে গত সপ্তাহে জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন সরকার ৬৫০ জন আফগানকে আশ্রয় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কারণ বিষয়টি আর জার্মানির জাতীয় স্বার্থে নয় বলে মনে করা হচ্ছে। জার্মান সরকার এই আফগানদের জার্মানিতে প্রবেশের দাবি প্রত্যাহার করলে আর্থিক সহায়তার প্রস্তাবও দিয়েছে, তবে নভেম্বরের মধ্য পর্যন্ত মাত্র ৬২ জন সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন।
এর আগে চলতি মাসে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, সেভ দ্য চিলড্রেন এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ ২৫০টির বেশি সংগঠন জানিয়েছিল, পাকিস্তানে প্রায় ১ হাজার ৮০০ আফগান অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন এবং তাদের জার্মানিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।
জার্মান সরকারের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানে আটকে থাকা আফগানদের জন্য আশা জাগানো এক প্রস্থান পথ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যদিও নতুন সরকারের নীতি পরিবর্তন কিছু আবেদন প্রক্রিয়া বিলম্বিত করতে পারে। তথ্যসূত্র: আরব নিউজ









