ট্রাম্পের দূতের বেলারুশ সফরের পর ১২৩ বন্দিকে মুক্তি দিলেন লুকাশেঙ্কো
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বেলারুশের নেতা আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি চুক্তির অংশ হিসাবে ১২৩ জন বন্দীকে ক্ষমা করেছেন। বিনিময়ে ওয়াশিংটন দেশটির সার খাতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে বলে জানা গেছে।
লুকাশেঙ্কো এবং ট্রাম্পের বিশেষ দূত জন কোলের মধ্যে দুই দিনের আলোচনার পর শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) এই পদক্ষেপের ঘোষণা দেওয়া হয়।
আরটির প্রতিবেদন অনুসারে, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে তাদের মধ্যে ‘নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার’ এবং ‘বন্দীদের মুক্তি’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এরপর জন কোল বলেছেন, ‘আমরা ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছি, সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও বেলারুশের মধ্যে পুনর্মিলনের পথে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়- সে সম্পর্কে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
বেলারুশের নেতার দপ্তর থেকে এই ‘ব্যাপক ক্ষমার’ বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। প্রেসিডেন্টের প্রেস সার্ভিস জানিয়েছে, বাইডেন প্রশাসনের আরোপিত ‘পটাসিয়াম শিল্পের বিরুদ্ধে অবৈধ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার’ সঙ্গে সম্পর্কিত ট্রাম্প এবং লুকাশেঙ্কোর মধ্যে চুক্তির অংশ হিসেবে এই মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, মুক্তিপ্রাপ্তরা বেলারুশের আইনের অধীনে বিভিন্ন ধরণের অপরাধ – গুপ্তচরবৃত্তি, সন্ত্রাসবাদ এবং চরমপন্থী কার্যকলাপের জন্য দোষী সাব্যস্ত। তাদের মধ্যে বিদেশিও রয়েছেন।
সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে বিশিষ্ট একজন হলেন ভিক্টর বাবারিকো। তিনি একজন প্রবীণ বিরোধী দলীয় ব্যক্তি, যাকে ২০২০ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে ১৪ বছরের জন্য কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে রুশ মিত্র বেলারুশের ‘পুনর্মিলন’ আলোচনার মধ্যে লুকাশেঙ্কো নিয়মিতভাবে বন্দীদের মুক্তি দিচ্ছেন। চুক্তির অধীনে ওয়াশিংটন বেলারুশের ওপর নীতি শিথিল করছে, কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে।










