61757

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় জাতিসংঘের নিন্দা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সুদানে কর্দোফানে জাতিসংঘের একটি স্থাপনায় ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় কর্দোফান অঞ্চলের কাদুগলি শহরে অবস্থিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর (ইউনিসফা) একটি লজিস্টিকস ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয় এক বিবৃতিতে জানান গুতেরেস।

ads

এই হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও আটজন। তারা সবাই আবেইয়ের জন্য গঠিত জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন নিরাপত্তা বাহিনী (ইউনিসফা)-তে কর্মরত ছিলেন।

এক বিবৃতিতে গুতেরেস বলেন, ‘সুদানের কাদুগলিতে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা লজিস্টিকস ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে চালানো ভয়াবহ ড্রোন হামলার আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’

ads

তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘের শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে হামলা আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। দক্ষিণ কর্দোফানে আজকের মতো শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা কোনোভাবেই ন্যায্য নয়। এর জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।’

সুদানের সেনাবাহিনী এই হামলার জন্য আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-কে দায়ী করেছে। দেশটির সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে।

তবে এ বিষয়ে আরএসএফের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এক বিবৃতিতে সুদানের সেনাবাহিনী জানায়, এই হামলা ‘বিদ্রোহী মিলিশিয়া ও তাদের মদদদাতাদের ষড়যন্ত্রমূলক মনোভাব স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে।’

এদিকে, ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।

এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ৬ জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরও ৮ জনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।’

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ। তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরো জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের লাশ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

ad

পাঠকের মতামত