61793

সফলভাবে শেষ হলো বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে প্যাডেল স্ল্যামের দ্বিতীয় আসর

স্পোর্টস ডেস্ক: সফলভাবে পর্দা নামল বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে হওয়া ‘আহসান গ্রুপ প্রেজেন্টস প্যাডেল স্ল্যাম ২.০, পাওয়ার্ড বাই অ্যাসেট ডেভেলপমেন্টস’ টুর্নামেন্টের। শনিবার অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচগুলো দিয়ে শেষ হয় তিন দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা। ফাইনাল উপভোগ করেন প্রতিযোগীদের পাশাপাশি বসুন্ধরা গ্রুপ ও বিভিন্ন স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারাও।

প্যাডেল স্ল্যামের দ্বিতীয় আসরে মেন্স অ্যাডভান্সড ক্যাটাগরির চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন জিউসেপে ও ম্যাশ জুটি।

ads

তারা রোমাঞ্চকর ফাইনালে ৬-৪, ২-৬ ও ৬-২ সেটে হারিয়েছেন রাকিন ও সাদমানজুটিকে। মেন্স ইন্টারমিডিয়েট ক্যাটাগরিতে ৭-৫, ৬-৩ সেটে চ্যাম্পিয়ন হন তাইসির ও পলক জুটি। রানার্সআপ হয়েছেন ফারহান ও নাবিল জুটি। উইমেন্স ডাবলসে একপেশে চ্যাম্পিয়ন হন ব্রিয়ানা ও ফারিহা জুটি।

ফাইনালে নাভেরা ও তাশফিয়া জুটিকে ৬-০, ৬-১ ব্যবধানে হারান তারা।

ads

খেলা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির হেড অফ অপারেশনস মাসুদুর রহমান মান্না। তার আগে ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয় স্পন্সর প্রতিষ্ঠান অ্যাসেট ডেভেলপমেন্টসের ডিরেক্টর নাভেরা খান এবং আহসান গ্রুপের প্রতিনিধির হাতে। পরে পর্যায়ক্রমে উইমেন্স, মেন্স ইন্টারমিডিয়েট ও মেন্স অ্যাডভান্সড ক্যাটাগরির রানার্সআপ ও চ্যাম্পিয়ন দলগুলোর হাতে ট্রফি, মেডেল ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

স্থানীয় প্যাডেল ইভেন্টগুলোর মধ্যে অন্যতম বৃহৎ আকর্ষণ হিসেবে এবারের আসরে মোট প্রাইজমানি রাখা হয় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা। তিনটি ক্যাটাগরিতেই চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে ৫০ হাজার টাকা করে এবং রানার্সআপ দল পেয়েছে ২৫ হাজার টাকা। আর্থিক পুরস্কারের পাশাপাশি বিভিন্ন স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার প্রদান করা হয়। শেয়ারট্রিপের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় ঢাকা–কক্সবাজার–ঢাকা বিমান টিকিট, লোটোর তরফ থেকে পাঁচ হাজার টাকার গিফট ভাউচার এবং গোল্ডস জিমের পক্ষ থেকে মেম্বারশিপ কার্ড।

এবারের আসরে স্পন্সর হিসেবে ছিল আহসান গ্রুপ, অ্যাসেট ডেভেলপমেন্টস, দৌড়, ব্রুভানা, শেয়ারট্রিপ, লোটো, এম.এইচ.সি, গোল্ডস জিম ও জুলকানসহ আরও কয়েকটি পরিচিত ব্র্যান্ড।

আসরের ব্রডকাস্ট পার্টনার হিসেবে ছিল দেশের একমাত্র স্পোর্টস চ্যানেল টি-স্পোর্টস। আসরের খেলাগুলো টি স্পোর্টস চ্যানেল ও তাদের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলোতে সম্প্রচার করেছে। যা মাঠের বাইরেও প্যাডেলপ্রেমীদের মাঝে এই খেলার পরিচিতি ছড়িয়ে দিচ্ছে। আয়োজকদের আশা, এ ধরনের আয়োজন প্যাডেলকে বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের কাছে আরও জনপ্রিয় করে তুলবে এবং দেশের ক্রীড়াঙ্গনে যোগ করবে নতুন মাত্রা।

ad

পাঠকের মতামত