সমুদ্রপথের পর স্থলভাগেও অভিযান শুরুর ঘোষণা ট্রাম্পের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, সমুদ্রপথে যুক্তরাষ্ট্রে মাদক প্রবেশ ৯৪ শতাংশ কমে গেছে। একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই স্থলভাগে একই ধরনের অভিযান শুরু করা হবে।
স্থানীয় সময় শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ওয়াশিংটনে স্টেট ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত কেনেডি সেন্টার অনার্স মেডেল প্রদান অনুষ্ঠানের নৈশভোজে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ট্রাম্প এসব কথা বলেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি ভাবছি বাকি ৬ শতাংশ কারা, কারণ সত্যি বলতে গেলে, ওরাই সম্ভবত সবচেয়ে সাহসী মানুষ। এখনও যারা মাদক পাচারের চেষ্টা করছেন, তাদের ইঙ্গিত করে তিনি এ কথা বলেন।
স্থলপথে অভিযানের বিষয়ে ট্রাম্প দাবি করেন, আমরা প্রতিটি রুট জানি, প্রতিটি বাড়ি জানি, তারা কোথায় থাকে তাও জানি। আমরা তাদের সম্পর্কে সবকিছু জানি।
তবে সমালোচকদের মতে, নিজের সাফল্য দেখাতে গিয়ে ট্রাম্প প্রায়ই পরিসংখ্যান অতিরঞ্জিত বা মনগড়াভাবে উপস্থাপন করেন।
মাদক পাচার ‘ভয়ংকর যুদ্ধের মতো’
মাদক পাচারকে ‘ভয়ংকর যুদ্ধের’ সঙ্গে তুলনা করে ট্রাম্প বলেন, গত বছর মাদকের কারণে প্রায় তিন লাখ মানুষ মারা গেছে। তিনি এ পরিস্থিতি চলতে দেবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
গত সেপ্টেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় সাগর ও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে মাদক বহনের সন্দেহে অন্তত ২২টি নৌযানে হামলা চালিয়েছে। এতে কমপক্ষে ৮৭ জন নিহত হয়েছেন। তবে কংগ্রেসের কয়েকজন সদস্য এসব অভিযানের কার্যকারিতা ও বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের অভিযোগ, প্রশাসন এখনও প্রমাণ দেখাতে পারেনি যে ওই নৌযানগুলোতে সত্যিই মাদক ছিল, কিংবা নিহত ব্যক্তিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
এর আগে একই দিনে ট্রাম্প স্বর্ণপদক প্রদান করেন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা সিলভেস্টার স্ট্যালোন, রক ব্যান্ড কিস-এর সদস্যদের, ডিস্কো সংগীতশিল্পী গ্লোরিয়া গেনর, অভিনেতা মাইকেল ক্রফোর্ড এবং সংগীতশিল্পী জর্জ স্ট্রেইটকে।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত এই বার্ষিক অনুষ্ঠানে আজীবন আমেরিকান পারফর্মিং আর্টসে অবদানের স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, আমেরিকার অন্যতম বড় রপ্তানি হলো আমাদের সংস্কৃতি ও প্রতিভা। এটি সারা বিশ্বকে অনুপ্রাণিত করে।
রুবিও আরও বলেন, অনেক মানুষের কাছে সিনেমা, টেলিভিশন কিংবা সংগীতের মাধ্যমেই প্রথম আমেরিকার সঙ্গে পরিচয় ঘটে। এটাকে ‘সফট পাওয়ার’ বলা হয়, কিন্তু আসলে এটি হলো বিশ্বজুড়ে আমেরিকান সংস্কৃতির প্রভাব।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুতে ট্রাম্প বিতর্কিতভাবে কেনেডি সেন্টারের বোর্ড বাতিল করে নিজের সমর্থকদের বসান। একই সঙ্গে তিনি দাবি করেন, এবারের পুরস্কারপ্রাপ্তদের বাছাইয়েও তার বড় ধরনের ভূমিকা ছিল।










