বাণিজ্য চুক্তির আগেই প্রতিরক্ষা চুক্তি করল যুক্তরাষ্ট্র-ভারত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাণিজ্য চুক্তির আগেই সই হয়ে গেল ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা চুক্তি। এই চুক্তির মধ্যে দিয়েই দুই দেশের সম্পর্ক ফের স্বাভাবিক হওয়ার পথ একধাপ এগোল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং মার্কিন যুদ্ধ সচিব পিট হেগসেথের মধ্যে আগামী ১০ বছরের জন্য প্রতিরক্ষা কাঠামো চুক্তি সই হয়েছে।
চুক্তি স্বাক্ষরের পরে পিট হেগসেথ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন। নিজের পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে ১০ বছরের মার্কিন-ভারত প্রতিরক্ষা কাঠামো স্বাক্ষরের জন্য দেখা করেছি। এটি আমাদের প্রতিরক্ষা অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা এবং প্রতিরোধের ভিত্তি। আমরা দুই দেশের মধ্যে সমন্বয়, তথ্য ভাগ এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বৃদ্ধি করছি। আমাদের প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আগের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়েছে।’
মালয়েশিয়ায় দুই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের এক বৈঠকে এই চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। গত জুলাই মাসে দুই নেতার মধ্যে এক বৈঠকে আগামী ১০ বছরের জন্য প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরে সম্মত হয় দুই দেশ।
আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল জিই অ্যারোস্পেসের এফ৪০৪ ইঞ্জিনের ডেলিভারি। এই ইঞ্জিনের ডেলিভারিতে দেরি হওয়ায় বিমান বাহিনীর হাতে তেজস লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্ট তুলে দিতে সমস্যায় পড়েছে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড।
ভারতে এফ৪১৪ ইঞ্জিনের যৌথ উৎপাদনের জন্য হ্যাল এবং জিই এরোস্পেসের মধ্যে প্রস্তাবিত চুক্তি দ্রুত চূড়ান্ত করার বিষয়ে জোর দেন রাজনাথ সিং। এই সহযোগিতা ভারতের দেশীয় প্রতিরক্ষা উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং আমদানির উপর নির্ভরতা কমাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
জুলাই মাসে হেগসেথ ও জয়শংকরের সাক্ষাতের বিষয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র জানান, দুই পক্ষই প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং গত ফেব্রুয়ারি মাসের যৌথ বিবৃতির বিষয়ে আলোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে তৃতীয় শক্তির (চীন) আগ্রাসনের ঝুঁকি নিয়ে দুই দেশেই উদ্বেগ রয়েছে। এ নিয়ে তারা কথা বলেছেন।’
উল্লেখ্য, দুই নেতা ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যৌথ বিবৃতির আলোকে দুই দেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি হয়েছে, তা পর্যালোচনা করেন।











