কুমিল্লা নগরীর রাণীর বাজার মাদ্রাসার ভূমি স্থায়ী বন্দোবস্তে আশ্বাস
নিউজ ডেস্ক: কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া রশিদিয়া আজীজুল উলুম, রাণীর বাজার—এর দীর্ঘদিনের ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা সমাধানে আশার আলো দেখা দিয়েছে। সাবেক সাংসদ-হুইপ ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মনিরুল হক চৌধুরীর সার্বিক উদ্যোগে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব প্রতিষ্ঠানটির ব্যবহৃত জমি স্থায়ী বন্দোবস্তের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
মাদ্রাসার আবেদন ও প্রেক্ষাপট
মাদ্রাসার মোহতামিম হাফেজ মনির হোসেন গত ১৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে ভূমি মন্ত্রণালয়ে আনুষ্ঠানিক আবেদন দাখিল করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসাটি কুমিল্লার অন্যতম প্রাচীন দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এখানে প্রায় ১১০০ জন শিক্ষার্থী ও ৭৭ জন শিক্ষক কর্মচারী শিক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত আছেন। বিগত কয়েক দশকে এ প্রতিষ্ঠান থেকে হাজারো হাফেজ, আলেম, মুফতি ও কারিগরি শিক্ষায় দক্ষ ছাত্র দেশ-বিদেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। তবে স্থানসংকট ও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতার কারণে বর্তমানে মাদ্রাসাটি টিনসেড ভবনে পাঠদান ও আবাসন চালিয়ে যাচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরি করছে।
স্থায়ী বন্দোবস্তের দাবি
হাফেজ মনির হোসেন বলেন, “আমরা ভূমি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছি যেন ৮৬.৫০ শতক লীজভুক্ত জমি স্থায়ী বন্দোবস্তে দেওয়া হয়। এতে বহুতল ভবন নির্মাণ করে শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হবে।
মুক্তিযোদ্ধার অঙ্গীকার
এ বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, “জামিয়া রশিদিয়া আজীজুল উলুম শুধু কুমিল্লার নয়, পুরো পূর্বাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আমি চাই এটি আরও প্রসারিত হোক, যাতে দরিদ্র ও মেধাবী ছাত্ররা ইসলামী জ্ঞানচর্চার মাধ্যমে কুমিল্লা ও বাংলাদেশের মান উন্নত করতে পারে।”
ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতি
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, “মাদ্রাসার আবেদনটি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই শেষে কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে দ্রুত স্থায়ী বন্দোবস্তের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।”
আশাবাদে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সদর্থক আশ্বাসে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা ছড়িয়ে পড়েছে। তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুল হক চৌধুরীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন—“তার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও জনদরদী ভূমিকার কারণেই কুমিল্লার ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নতুনভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।











