
কুমিল্লায় এবার ৮১৮ মণ্ডপে দুর্গাপূজা, চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে কুমিল্লা জেলায় বইছে উৎসবের হাওয়া। মণ্ডপে মণ্ডপে চলছে শেষ মুহূর্তের সাজসজ্জা, প্রতিমা শোভা বর্ধন ও আলোকসজ্জার কাজ। পূজা উপলক্ষে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন আয়োজক ও সেবায়েতরা। উৎসবের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, সেনাবাহিনী, র্যাব, বিজিবি, আনসার বাহিনী ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতিটি মণ্ডপে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা, সিসিটিভি ক্যামেরা, আলো, পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করা হয়েছে।
এবার জেলায় নগরী সহ ১৭টি উপজেলায় মোট ৮১৮টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন হয়েছে, এর মধ্যে ৭৬৫টি প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হবে। এছাড়াও নগরীর ঠাকুরপাড়া মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজায় কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়েছে। আজ শনিবার রাতের পঞ্চমী দিয়ে শুরু হবে পূজার আনুষ্ঠানিকতা এবং আগামী বৃহস্পতিবার, ২ অক্টোবর মহাদশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
রাজ রাজেশ্বরী কালি বাড়ি মন্দিরের শিল্পী পাল জানান, খরচ বেড়েছে অনেক, মজুরি বাড়েনি, তারপরও কাজ করতে ভালো লাগে-এটি শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, আমাদের শেকড়ের টান।
পুলিশ সুপার নজির আহমেদ খান বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজা উপলক্ষে জেলা পুলিশ ৩ টা অংশে কাজ করবে। পূজার প্রস্তুতিকালীন, পূজা চলাকালীন ও বিসর্জনের সময়। ৯৫০ জন পুলিশ সদস্য ছোট ছোট টিম করে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ মণ্ডপে ফিক্সড পুলিশ স্ট্যান্ড থাকবে। এছাড়াও ডিবির কুইক রেসপন্স টিম থাকবে। ৯৯৯ সেবা সর্বদা অব্যাহত থাকবে। সোস্যাল মিডিয়া মনিটরের জন্য বিশেষ টিম থাকবে, যাতে কেউ গুজব ও অপপ্রচার ছড়াতে না পারে। নগরীতে যানজট নিরসনের জন্য পূজা চলাকালীন সার্বক্ষণিক ট্রাফিক পুলিশ কাজ করবে। প্রত্যন্ত এলাকায় মণ্ডপে পৌঁছাতে নৌযোগে পুলিশের টিম কাজ করবে।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গোৎসব সম্পন্ন করতে প্রতিটি মণ্ডপে আনসার, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা প্রতিটি মণ্ডপের সিসি ক্যামেরা কার্যক্রম সরাসরি তদারকি করবেন। তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত মনিটরিং টিম মাঠে থাকবে।
কুমিল্লা জেলা পূজা উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টি নির্মল পাল জানান- “শারদীয় দুর্গা পূজা শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ। প্রতিটি মণ্ডপে আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে উৎসবকে সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার চেষ্টা করছি। প্রশাসনও আমাদের যথেষ্ট সহযোগিতা করছে।