
‘মাদকবাহী নৌযানে’ সামরিক হামলায় ১১ ‘সন্ত্রাসী’ নিহত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ক্যারিবীয় সাগরে একটি ‘মাদকবাহী নৌযানে’ মার্কিন সামরিক বাহিনী কাইনেটিক হামলা চালিয়ে ১১ জন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে। নৌযানটি ভেনেজুয়েলা থেকে যাত্রা করে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ট্রাম্পের ভাষ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকালে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু ছিল ট্রেন দে আরাগুয়া নামের ভেনেজুয়েলার একটি আন্তঃদেশীয় গ্যাংয়ের সদস্যরা। যাদেরকে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আজ ভোরে আমার নির্দেশে মার্কিন সামরিক বাহিনী সাউথকম-এর দায়িত্বাধীন এলাকায় ট্রেন দে আরাগুয়া নামক নারকো-সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি কাইনেটিক হামলা চালিয়েছে’।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘টিডিএ (TDA) একটি বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন, যেটি নিকোলাস মাদুরোর নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হচ্ছে। এরা গণহত্যা, মাদক ও নারী পাচার, সহিংসতা ও সন্ত্রাসের জন্য দায়ী—যা যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম গোলার্ধজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে’।
তিনি এ সময় হামলার ২৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন।
হামলাটি আন্তর্জাতিক জলসীমায় ঘটেছে, যখন নৌযানটি ‘অবৈধ’ মাদক পরিবহণ করছিল এবং যুক্তরাষ্ট্রের দিকে আসছিল। ট্রাম্প বলেন, হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনা আহত হয়নি।
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, যে কেউ যুক্তরাষ্ট্রে মাদক আনতে চাইছে, এ ঘটনার মাধ্যমে তাদের জন্যই সতর্কবার্তা দেওয়া হলো। সাবধান!
হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গেও ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সরাসরি একটি নৌযান উড়িয়ে দিয়েছি—মাদকভর্তি একটি নৌকা। দীর্ঘদিন ধরে প্রচুর মাদক আমাদের দেশে ঢুকছে। এগুলো ভেনেজুয়েলা থেকে এসেছে, এবং ভেনেজুয়েলা থেকে ব্যাপকভাবে আসছে। তাই আমরা এটিকে ধ্বংস করেছি’।
মার্কিন সিনেটর মার্কো রুবিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ নিশ্চিত করেন যে, ক্যারিবীয় সাগরের দক্ষিণাঞ্চলে ভেনেজুয়েলা থেকে যাত্রা করা মাদকবাহী নৌযানে ‘প্রাণঘাতী’ হামলা চালানো হয়েছে, যা একটি চিহ্নিত নারকো-সন্ত্রাসী সংগঠন পরিচালনা করছিল।
একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য হিল-কে জানান, যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনী নৌযানটিতে ‘সুনির্দিষ্ট হামলা’ চালিয়েছে। তিনি আরও জানান, পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হবে।
এই হামলার প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক দিনগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ক্যারিবীয় অঞ্চলে অন্তত সাতটি জাহাজ, একটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন এবং ৪,৫০০ মেরিন মোতায়েন করেছে—লাতিন আমেরিকার মাদক কার্টেলদের হুমকি মোকাবিলায়।
এদিকে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো যুক্তরাষ্ট্রের এ পদক্ষেপকে তীব্র সমালোচনা করে বলেছেন, এটি ‘অতিরঞ্জিত, অযৌক্তিক, অনৈতিক, সম্পূর্ণ অপরাধী ও রক্তাক্ত হুমকি’।
মাদুরো সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এই সর্বোচ্চ সামরিক চাপের মুখে আমরা ভেনেজুয়েলা রক্ষার জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি ঘোষণা করেছি’। তবে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন ভেনেজুয়েলায় স্থল-আক্রমণের কোনো ইঙ্গিত দেয়নি।
মাদুরো প্রতিবেশী দেশ কলম্বিয়ার সীমান্তে প্রায় ১৫ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছেন মাদক পাচার রোধে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন তাদের এই মোতায়েনকে ‘মাদকবিরোধী অভিযান’ হিসেবে বর্ণনা করছে, যা ভেনেজুয়েলার প্রতিবেশী গায়ানার সমর্থন পেয়েছে। ট্রাম্প লাতিন আমেরিকার মাদক কার্টেলগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিলসহ অন্যান্য মাদক পাচারের অভিযোগে দায়ী করেছেন।
হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিট আগেই জানিয়েছিলেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে মাদক ঢোকা বন্ধ করতে এবং দায়ীদের বিচারের মুখোমুখি করতে আমেরিকার সব ধরনের শক্তি প্রয়োগে প্রস্তুত।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউএসএস গ্র্যাভলি এবং ইউএসএস জেসন ডানহাম নামের দুটি গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইতিমধ্যেই ক্যারিবীয় অঞ্চলে অবস্থান করছে।
মাদুরো সোমবার সতর্ক করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এই অভিযান ট্রাম্পের হাতে রক্তের দাগ লাগাবে।
তিনি আরও জানান, চাকরি রক্ষায় হাইকোর্টে রিট করলে আদালত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী বেতন-ভাতা দেওয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আসামিরা তাকে সেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে আসছেন।
শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, ‘২০১৬ সালে কলেজে যোগ দেওয়ার পর থেকেই তারা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এতে আমি সামাজিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। শেষ পর্যন্ত আইনের আশ্রয় নিয়েছি’।