59369

গাজায় সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি স্থগিত করতে পারে জার্মানি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা উপত্যকায় ব্যবহার করা হতে পারে, ইসরায়েলে এমন সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি স্থগিত করবে জার্মানি। চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্ৎস আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছেন। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান সম্প্রসারণের পরিকল্পনার প্রতিক্রিয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

এক বিবৃতিতে মার্ৎস বলেন, ‘জার্মান সরকার পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় ব্যবহার হতে পারে, এমন কোনো সামরিক সরঞ্জাম ইসরায়েলে রপ্তানির অনুমোদন দেবে না।’

ads

গাজায় চলমান মানবিক দুর্দশার কথা তুলে ধরে জার্মানি এই ঘোষণা দিয়েছে। এতে ইসরায়েলকে ঘিরে তাদের নীতিতে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

গত জুনে অনুষ্ঠিত ন্যাটো সম্মেলনের আগে দেওয়া এক বক্তব্যে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্ৎস বলেন, ‘ইসরায়েলের অস্তিত্ব রক্ষা আমাদের রাষ্ট্রীয় কর্তব্য।’ তাঁর এমন বক্তব্যের পর গাজায় ব্যবহার করা হতে পারে, এমন সামরিক অস্ত্র ইসরায়েলে রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত জার্মানির জন্য একটি বড় পদক্ষেপ।

ads

ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানিতে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জার্মানি।

স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপরি)-এর তথ্য অনুসারে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ইসরায়েলের অস্ত্র আমদানির ৩৩ শতাংশ জার্মানি থেকে সরবরাহ করা হয়েছে (যুক্তরাষ্ট্র দিয়েছে ৬৬ শতাংশ)। এই অস্ত্রের মধ্যে ছিল, নৌযুদ্ধযান (যেমন ফ্রিগেট, টর্পেডো)। তবে সাঁজোয়া ট্রাক, ট্যাংক বিধ্বংসী অস্ত্র ও গোলাবারুদও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

তবে মার্ৎস হামাসকে নিরস্ত্র করা এবং ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্ত করার অধিকারে ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। অবশ্য বলেন, ইসরায়েলের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তে এই লক্ষ্যগুলো অর্জন করা ‘ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে।’

বিশ্বযুদ্ধে গণহত্যার দায়বোধ থেকে সৃষ্টি হওয়া ইসরায়েলের প্রতি জার্মানির দীর্ঘদিনের সমর্থন এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। গাজায় মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি হতে থাকায় এবং মানবিক সংকটে জার্মানরা সরকারের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছে।               সূত্র: রয়টার্স

 

ad

পাঠকের মতামত